‘শেখ হাসিনার ভারত সফরে অমীমাংসিত সমস্যার অগ্রগতি’

প্রকাশ | ২৩ আগস্ট ২০১৯, ১৮:২৭ | আপডেট: ২৩ আগস্ট ২০১৯, ২০:২০

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

আগামী অক্টোবরে মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে আমাদের অমীমাংসিত সমস্যার সমাধানে অগ্রগতি হবে বলে জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের।

ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক এখন নতুন উচ্চতায় উন্নীত। আর প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে সম্পর্কের কোন টানাপোড়েন নেই।

শুক্রবার বিকালে রাজধানীর পলাশীর মোড়ে হিন্দু অবতার শ্রী কৃষ্ণের জন্মবার্ষিকী জন্মাষ্ঠমীর মিছিল উদ্বোধন করেন কাদের। এ সময় গণমাধ্যমকর্মীদেরকে এসব কথা বলেন তিনি।

ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে আগামী অক্টোবরে দিল্লি যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। ২০১৭ সালেও তার সফরে দুই দেশের মধ্যে বেশ কিছু চুক্তি ও সমঝোতা হয়েছিল।

আওয়ামী লীগের শাসনামলে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত নির্ধারণসহ বেশ কিছু অমীমাংসিত সমস্যার সমাধান হয়েছে। তবে সীমান্ত হত্যা কমলেও ঘোষণা অনুযায়ী শূন্যে না নামা, বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি বাড়লেও এখনো অশুল্ক বাঁধা রয়ে যাওয়া আর বিশেষ করে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি আটকে থাকায় আছে বিরূপ প্রতিক্রিয়া।

দুই বছর আগে শেখ হাসিনার সফরের সময় তিস্তা নিয়ে চুক্তি না হলেও মোদি অঙ্গীকার করেন, তার মেয়াদেই হবে এই চুক্তি। তবে সে কথা রাখতে পারেননি তিনি। দুই দেশেই নতুন নির্বাচন শেষে চলতি বছরই হয়েছে নতুন সরকার। আর ভারতে আগের চেয়ে শক্তিশালী হয়েছেন মোদি। তাই তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বাঁধা কতটা অতিক্রম করতে পারেন, সেটা এখন দেখার বিষয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সফরের মধ্য দিয়ে আমাদের কনস্ট্রাকটিভ পার্টনারশিপ আরও নতুন উচ্চতায় উন্নীত হবে এবং আমাদের দেশের বিরাজমান অমীমাংসিত সমস্যাগুলো সমাধানে আমরা আরেক ধাপ এগিয়ে যাব।’

হিন্দু সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকার মাইনরিটিবান্ধব সরকার। এ সরকার যতদিন আছে আপনাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই। আপনাদের দূর্গা উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়েছে। অন্য উৎসবগুলোও শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হচ্ছে। শেখ হাসিনার সরকারের আমলে এইদিক দিয়ে আপনারা নিরাপদ।’

‘আপনাদের শত্রু যারা, তারা বাংলাদেশের শত্রু। তারা হচ্ছে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি। এই সাম্প্রদায়িক অপশক্তি শুধু আপনাদের শত্রু না, বাংলাদেশের শত্রু। এই সাম্প্রাদায়িক শক্তির বিষবৃক্ষকে উৎপাটনের জন্য আপনাদের কাছে শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিনে আমার আহ্বান। আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে প্রতিরোধ করি।’

‘শ্রীকৃষ্ণের জন্ম ও তার আবির্ভাব হয়েছিল অসত্য ও অকল্যাণের বিরুদ্ধে সত্য ও সুন্দর কল্যাণের লড়াইয়ের জন্য। এ লড়াইয়ের মাধ্যমে সুদিনের প্রত্যাশায় আমাদের সকলকে উজ্জীবিত হতে হবে।’

ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘ধর্ম যার যার উৎসব সবার। আমাদের কোন আচরণে যেন কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত না লাগে এ বিষয়ে সকলকে সজাগ থাকতে হবে।’

সার্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি শৈলেন্দ্র নাথের সভাপতিত্বে শোভাযাত্রার  উদ্বোধন করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন।

ঢাকাটাইমস/২৩আগস্ট/টিএ/ডব্লিউবি