গ্যাস সংকটে বন্ধ কর্ণফুলী পেপার মিল

হিমেল চাকমা, রাঙামাটি
 | প্রকাশিত : ২৩ আগস্ট ২০১৯, ২২:৫৯

গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হওয়ায় কাগজ উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে রাষ্ট্রায়ত্ত কাগজকল রাঙামাটির কর্ণফুলী পেপার মিলে (কেপিএম)। কাজহীন হয়ে পড়েছে মিলের এক হাজার শ্রমিক কর্মচারী। এ অবস্থায় গ্রাহকদের কাছে কাগজ সরবরাহে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

কেপিএম সূত্র জানায়, আদেশ অনুযায়ী কেপিএম থেকে সব মন্ত্রণালয়, এনসিটিবি, নির্বাচন কমিশন, হাইকোর্ট, বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ড, পাবলিক ও কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়সহ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো কাগজ সংগ্রহ করে।

মিলটি দ্রুত চালু করা না হলে এসব প্রতিষ্ঠানে কাগজ সরবারহ করা সম্ভব হবে না।

মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএ কাদের ঢাকাটাইমসকে বলেন, সরকারের অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো কেপিএম থেকে কাগজ সংগ্রহ করে। এ অচলাবস্থা অব্যাহত থাকলে কাগজের বাজারে হৈচৈ পড়ে যাবে। সারাদেশে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

এ বিষয়টি আমরা ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।

এমএ কাদের বলেন, গ্যাস কোম্পানি হঠাৎ করে গ্যাস বন্ধ করে দিয়েছে।

মিলের তথ্যমতে কেপিএমে গত ৪ আগস্ট দুপুরে চট্টগ্রাম থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয় গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি। এর কারণে মিলের সব কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। কর্মহীন হয়ে পড়ে মিলের প্রায় এক হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী।

কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি বাংলাদেশ চট্টগ্রাম অঞ্চলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হায়েজ আহমদ মজুমদার ঢাকাটাইমসকে বলেন, কেপিএমের গ্যাস সংযোগ লাইনে যে ত্রুটি হয়েছে তা সরানোর জন্য প্রায় পাঁচ কোটির মতো টাকার প্রয়োজন। এটি গ্রাহকের নিজস্ব খরচে ঠিক করে নিতে হবে। আমরা এ বিষয়ে কেপিএমকে জানিয়েছি। এটা কবে ঠিক হবে তা নির্ভর করছে গ্রাহকের ওপর।

কেপিএম শ্রমিক কর্মচারী পরিষদের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক ঢাকাটাইমসকে বলেন, এটি ষড়যন্ত্র করে কৌশলে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কেপিএম যদি পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া যায় তবে একটি অংশ বেশি লাভবান হবে। এতে দেশ তথা দেশের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এমন সময়ে মিলে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হল পুরো সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য। সামনে শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন বই বিতরণ করা হবে বন্ধ থাকলে সেটি ব্যাহত হবে।

কেপিএম সূত্র জানায়, কয়েক মাসের মধ্যে তিন হাজার টন কাগজ সরবরাহের জন্য চাহিদা গ্রহণ করা হয়েছিল। উৎপাদন বন্ধ হওয়ায় সেটি সম্ভব হবে না।

কেপিএম ব্যবস্থপনা পরিচালক এমএ কাদের বলেন, এ সমস্যা দ্রুত সমাধান করার দরকার ছিল, কিন্তু হয়নি। আমরা ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষকে টেলিফোনে, সরাসরি ও লিখিতভাবে জানিয়েছি। কিন্তু এখনো মিল চালুর ব্যাপারে নিশ্চয়তা পায়নি। এখন মিলের ভবিষ্যত নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

১৯৫৩ সালে তৎকালীন পাকিস্তান শিল্প উন্নয়ন সংস্থা মিলটি প্রতিষ্ঠা করে। এশিয়ার বৃহত্তম এ মিলে প্রতিষ্ঠাকালীন উৎপাদন ক্ষমতা ছিল বছরে ৩০ হাজার মেট্রিক টন। কোনো ভর্তুর্কি ছাড়া দেশের সিংহভাগ কাগজের চাহিদা পূরণ করত কেপিএম। বর্তমানে উৎপাদন হচ্ছে ছয় থেকে ১০ হাজার মেট্রিক টন।

(ঢাকাটাইমস/২৩আগস্ট/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

ফেসবুক আইডি ক্লোন করে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ, যুবক গ্রেপ্তার

ফরিদপুর প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দের সঙ্গে পুলিশ সুপারের মতবিনিময়

পতেঙ্গায় ফিশিং বোটের ইঞ্জিন বিস্ফোরণে ৪ জন দগ্ধ

চট্টগ্রামে ঈদকে সামনে রেখে জালনোট চক্রের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার

বরিশালে নামাজের সময় মসজিদের এসি বিস্ফোরণ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দ্রুতগতির লেনে যাত্রী নামানোর অপরাধে ৩৩ যানবাহনকে মামলা 

বরগুনা প্রেসক্লাব দখলের মামলায় ৭ জন কারাগারে  

পর্যটকদের আকৃষ্ট করছে তাহিরপুরের শহীদ সিরাজ লেক

ঝিনাইদহে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু

ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :