সত্য বলার উপায় নেই, ইস্তফা দিলেন আইএএস অফিসার
সাধারণের জন্য কাজের সুযোগ পাবেন এবং সঠিকভাবে মানুষের সেবা করতে পারবেন বলে অনেক চেষ্টা করে ভারতের আইএএস অফিসার হয়েছিলেন জি কান্নান। কেরালায় বন্যার সময়ে ত্রাণকাজে কার্যকরী অবদান রাখার জন্য দেশব্যাপী প্রশংসীত হয়েছিলেন তিনি। তবে সম্প্রতি কাশ্মীরে ভারত সরকারের বিতর্কিত নীতির কারনে ইস্তফা দিয়েছেন এই আইএএস অফিসার। সত্য বলতে কন্ঠরোধ করা হচ্ছে এমন অভিযোগ করে পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি।
কান্নানের ঘনিষ্ঠজনেরা জানিয়েছেন, জম্মু-কাশ্মীরে সরকারি নীতির প্রতিবাদেই ইস্তফা দিয়েছেন কান্নান। ইতিমধ্যেই টুইটারে তাকে ‘দেশ-বিরোধী’ তকমা দিয়ে প্রচার শুরু কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা।
তবে প্রকাশ্যে কাশ্মীর ইস্যুর কথা জানাননি কান্নান। দাদরা ও নগর হাভেলি প্রশাসনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদ সামলেছেন তিনি। ইস্তফার বিষয়ে তার বক্তব্য, ‘ভেবেছিলাম সিভিল সার্ভিসে থেকে মানুষের বক্তব্য তুলে ধরতে পারব। দেখলাম আমার কণ্ঠই রুদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। আমি স্বরাষ্ট্রসচিব বা অর্থসচিব নই। আমার ইস্তফায় পরিস্থিতির বদল হবে না। কিন্তু আমার বিবেক স্বচ্ছ।’
তবে আইএএস অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে খবর, জম্মু-কাশ্মীরের মানুষের মৌলিক অধিকার খর্ব হওয়ায় ক্ষুব্ধ কান্নান। তার এক সতীর্থের কথায়, ‘ও বলত মৌলিক অধিকার খর্ব হওয়ার অর্থ জরুরি অবস্থা জারি হওয়া।’
তার বিরুদ্ধে দেশ দ্রোহিতার প্রচার করলেও পক্ষেও অনেকে কথা বলেছেন। গত লোকসভা নির্বাচনে স্থানীয় বিজেপি নেতার বিষয়ে অভিযোগ দিয়ে মোদি সরকারের ক্ষুদ্ধ নজরে পড়েছিলেন কান্নান। তবে দমে যাননি তিনি।
ঢাকা টাইমস/২৫আগস্ট/একে