নানা চ্যালেঞ্জের মধ্যে শুরু জি-সেভেন সম্মেলন

প্রকাশ | ২৫ আগস্ট ২০১৯, ১৪:২৩ | আপডেট: ২৫ আগস্ট ২০১৯, ১৪:৩৮

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস

এত মতভিন্নতা নিয়ে কখনই শীর্ষ সম্মেলনে বসেনি জি-সেভেন৷ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য বিরোধ, ব্রেক্সিট, জলবায়ু সংকট, আমাজনের আগুন, নানা বিষয় নিয়ে চ্যালেঞ্জিং হতে চলেছে ফ্রান্সের বিয়ারিৎসে আয়োজিত এবারের জি-সেভেন সম্মেলন৷ তিন দিনের সম্মেলন শেষে বিশ্বনেতারা এই সব ইস্যুতে একমত হবেন, এমন আশা নিয়েই শনিবার উত্তর ফ্রান্সে শুরু হয়েছে জি-সেভেন সম্মেলন৷

ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টুস্ক অবশ্য সতর্ক করে দিয়েছেন যে, এবারের সম্মেলনই হতে পারে ‘রাজনৈতিক একতায় পৌঁছানোর শেষ সুযোগ’৷ শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে টুস্ক বলেন, ‘মুক্ত বিশ্ব ও এর নেতৃবৃন্দের জন্য এবারের সম্মেলন এক কঠিন পরীক্ষা’৷

ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ জানিয়েছেন, এবারের সম্মেলনে তার অন্যতম লক্ষ্য ‘সব নেতাদের এটা বোঝানো যে, পারস্পরিক উত্তেজনা, বিশেষ করে বাণিজ্য সংকট, সব দেশের জন্যই ক্ষতিকর’৷

এদিকে প্রতি বছরের মতোই এবারও সম্মেলনস্থলের বাইরে জড়ো হয়েছেন প্রতিবাদকারীরা৷ বিয়ারিৎসের পাশের শহর হেনদায়েতে জি-সেভেনের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অর্থনৈতিক ও পরিবেশ নীতি পাল্টানোর দাবিতে চলছে বিক্ষোভ৷ জলবায়ু পরিবর্তন ও অন্যান্য ইস্যুতে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি তাদের৷

ফ্রান্সে জি-সেভেন সম্মেলনে যোগ দিতে বিমানে ওঠার ঠিক আগেই ফ্রান্সকে হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের ওপর ডিজিটাল কর বসানোর পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ফরাসি ওয়াইনের ওপর নতুন কর বসানোর হুমকি দিয়েছেন তিনি৷ ইউরোপিয়ান কমিশন প্রেসিডেন্ট টুস্ক অবশ্য দ্রুতই পাল্টা জবাব দিয়েছেন৷ তিনি বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার ‘হুমকি বাস্তবায়ন করলে, ইইউ একই ধরনের পালটা জবাব দিতে প্রস্তুত’৷

সম্মেলনের আগেই বিভিন্ন কর বাড়ানোয় যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলমান বাণিজ্য যুদ্ধ চরম রূপ নিয়েছে৷ যুক্তরাষ্ট্র-চীনের মধ্যকার বাণিজ্য সংকটকেই পৃথিবী জুড়ে চলতে থাকা অর্থনৈতিক ধীরগতির অন্যতম কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়৷ বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, এ অবস্থা চলতে থাকলে আবার অর্থনৈতিক মন্দার মুখে পড়তে হতে পারে পৃথিবীকে৷

এ বছরের আলোচ্যসূচিতে দক্ষিণ আমেরিকার আমাজনে জ্বলতে থাকা দাবানলও একটি বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনেরো কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে ইইউয়ের সঙ্গে দেশটির বাণিজ্য চুক্তি বাতিলের হুমকিও দিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ৷ তিনি বলেছেন, ‘আগুন থামাতে এবং পুনরায় বনায়নে শুধু আহ্বানই জানাবে না, আমাজোনিয়া অঞ্চলের অন্যান্য দেশকে সঙ্গে নিয়ে সর্বশক্তি প্রয়োগ করবে’৷

ম্যাক্রোঁর এই আহ্বানকে সমর্থন জানিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মার্কেলও৷ তবে সম্মেলনে এ নিয়ে আলোচনা করতে চাইলেও ব্রাজিল-ইইউ মেরকসুর চুক্তি বাতিলের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন মার্কেল৷ এক ভিডিও বার্তায় জার্মান চ্যান্সেলর জানিয়েছেন, ‘আমরা সব ধরনের সহায়তার চেষ্টা করবো, স্পষ্ট বার্তা জানাব যে রেইনফরেস্টটিকে বাঁচাতে সাধ্যের সবকিছুই করতে হবে’৷

ঢাকা টাইমস/২৫আগস্ট/একে