ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় দুইটি তদন্ত কমিটি, লাশ হস্তান্তর

ফরিদপুরের ধুলদীতে শনিবার সড়ক দুর্ঘটনায় আটজন নিহতের ঘটনায় পৃথক দুইটি তদন্ত কমিটি হয়েছে। এর একটি নেতৃত্বে রয়েছেন অতিরিক্ত জেলা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আসলাম মোল্লা এবং অপরটিতে রয়েছেন হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিরাজুল ইসলাম। আগামী সাত কর্ম দিবসের মধ্যে দুর্ঘটনার কারণ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলে তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

ফরিদপুর কোতয়ালি থানার ওসি এফএম নাছিম জানান, সড়ক দুর্ঘটনার পর রাতে ফরিদপুরের করিমপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপ-সহকারী পরিদর্শক সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন।

এদিকে, দুর্ঘটনায় ফরিদপুরের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আসলাম মোল্লাকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- ফরিদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল ও সড়ক বিভাগের প্রতিনিধি এবং বিআরটিএ-এর প্রতিনিধি।

অন্য কমিটির সদস্যরা হলেন- ফরিদপুর হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিরাজুল ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটির অপর দুই সদস্য হচ্ছেন হাইওয়ে পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার কে এম আব্দুল্লাহ ও আল্লাহদীপুর থানার ওসি মাসুদ পারভেজ।

এ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত আটজনের পরিবারকে তাদের লাশ হস্তান্তর করেছে জেলা পুলিশ।

নিহতরা হলেন- কমফোর্ট লাইন বাসের সুপারভাইজার, গোপালগঞ্জ সদরের হানিফ শেখ, বাসযাত্রী গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার কাঠি গ্রামের ফারুক মোল্লা, আসমা বেগম, নড়াইল জেলার বনগ্রাম কালিয়া গ্রামের আলী খন্দকার, একই গ্রামের কেয়া আক্তার, গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার শিবপুর গ্রামের মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, গোপালগঞ্জ সদরের ডলি আক্তার এবং মোটরসাইকেল চালক ফরিদপুর সদর উপজেলার বিলমাহমুদপুর গ্রামের ওয়াহিদুজ্জামান।

পরে মরদেহগুলোর আগুলের ছাপ নিয়ে পরিচয় শনাক্ত করা হয়।

এদিকে, দুর্ঘটনায় আহত ২০ জনের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। বাকিরা আশঙ্কামুক্ত বলে জানান ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকেরা।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার দুপুরে ফরিদপুরের ধুলদিতে সেতুর রেলিং ভেঙে কমফোর্ট লাইনের একটি বাস খাদে পড়ে যায়। এ ঘটনায় নিহত হয় আটজন এবং আহত হয় ২০ জন।

(ঢাকাটাইমস/২৫আগস্ট/এলএ)