নামের ফেরে কারাগারে

প্রকাশ | ২৫ আগস্ট ২০১৯, ১৯:৩৫

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

প্রকৃত আসামি জর্ডানে। আর নামের মিলে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা থানার উদিয়ারপাড়ার (স্কুল পাড়া) জামসু মিয়া।
এ ঘটনাটি ঘটেছে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের একটি যৌতুক আইনের মামলায়। গত ৮ আগস্ট থেকে কারাগারে ভুক্তভোগী। রবিবার তার উপস্থিতিতে আদালতে শুনানি হলেও তার কারামুক্ত হননি জামসু।

ঢাকা সিএমএম আদালতে ২০১৫ সালের ১১ জুন মানহুরা খাতুন নামে একজন স্বামী কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা থানার সিরাজ মিয়ার ছেলে জামসু মিয়া সাগরের বিরুদ্ধে যৌতুক আইনে মামলা করেন।

ঢাকা মহানগর হাকিম মিল্লাত হোসেন গত ৫ ফেব্রুয়ারি আসামির অনুপস্থিতিতে তাকে এক বছর তিন মাসের কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। আদালত আসামির স্থায়ী ঠিকানার ইটনা থানায় কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপারের মাধ্যমে একটি সাজা পরোয়ানা জারি করে।

ইটনা থানায় ওই পরোয়ানা পৌঁছানোর পর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোর্শেদ জামান গত ২৫ জুলাই ওই থানার এসআই শামছুল হাবিবকে গ্রেপ্তারের দায়িত্ব দেন। গত ৭ আগস্ট ইটনা থানার সিরাজুল হকের ছেলে জামসু মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন কিশোরগঞ্জের বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করা হলে তাকে কিশোরগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হয়।

গত ২২ আগস্ট রায় প্রদাণকারী আদালতে ভুক্তভুগীর আইনজীবী তানজির সিদ্দিকী রিয়াদ ভুল আসামি গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানিয়ে জামিনের আবেদন করেন। মহানগর হাকিম মিল্লাত হোসেন বিষয়টি নিয়ে ২৫ আগস্ট শুনানির দিন ঠিক করেন। কিশোরগঞ্জ কারাগার থেকে জামসুকে আনা হয় ঢাকায়।
শুনানিতে আইনজীবী তানজির সিদ্দিকী রিয়াদ ভুল আসামিকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি তুলে ধরেন। সাজা হওয়া আসামি জামসু মিয়া সাগরের আইনজীবী এসএম গোলাম ছোবহান শেখুনও বিষয়টি সত্য বলে আদালতকে জানান।

পরে সাজাপ্রাপ্ত এবং গেপ্তার হওয়া আসামি আলাদা ব্যক্তি কি না সে বিষয়টি তদন্ত করে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে ইটনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন বিচারক। তবে তিনি জামসুর জামিন নাকচ করেন।

ভুক্তভোগীর আইনজীবী তানজির বলেন, ‘গ্রেপ্তারের পর পুলিশকে ভুলের বিষয়টি বলা হলেও পুলিশ তাকে ছাড়েনি বা তদন্ত করেও দেখেনি। এ কারণেই একজন নিরাপরাধ মানুষ ৮ আগস্ট থেকে কারাগারে রয়েছেন।...প্রকৃত আসামি বর্তমানে জর্ডান রয়েছে বলে জানা গেছে।’

দণ্ডিত জামসু মিয়া সাগরের আইনজীবী এসএম গোলাম ছোবহান শেখুন বলেন, ‘আমার মামলার আসামিকে আমি চিনি। যে আসামিকে পুলিশ ধরে এনেছে সে ওই আসামি নয়। আমি শুনানির সময়ও আদালতকে এ কথা বলেছি।’

ঢাকাটাইমস/২৫আগস্ট/ডব্লিউবি