দেশকে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে বাকশাল প্রয়োজন: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

প্রকাশ | ২৫ আগস্ট ২০১৯, ২৩:১২ | আপডেট: ২৫ আগস্ট ২০১৯, ২৩:২৬

ঢাবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

দেশকে অর্থনৈতিকভাবে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে বাকশাল প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

মন্ত্রী বলেন, বাকশালের দুটো অংশ ছিলো। একটা রাজনৈতিক আরেকটা অর্থনৈতিক। আজকের প্রেক্ষাপটে আমরা মনে করি না রাজনৈতিক বাকশাল বাস্তবসম্মত। কিন্তু তার যে অর্থনৈতিক কর্মসূচি ছিল সেটিই বাঙালি জাতির একমাত্র মুক্তির সনদ।

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে রবিবার বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এক আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। আইন সমিতি এর আয়োজন করে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোজাম্মেল হক বলেন, ‘স্বাধীনতার পর ৪৯ পর বছর চলে গেল। আমরা শুধু ডিফেন্সিভ খেলছি অফেন্সিভ খেলতে পারছি না। এই ৪৯ বছরের মধ্যে আওয়ামী লীগ ছিল মাত্র ২০ বছর ক্ষমতায়। আর বাকি ৩০ বছর ছিল জিয়া, এরশাদ, খালেদার টাউট বাটপারে দল। ত্রিশ বছর তারা দেশকে পিছনের দিকে নিয়ে গেছে।’

‘এই ময়লা সাফ করে দেশকে কাঙ্খিত লক্ষ্যে নিয়ে যেতে শেখ হাসিনা সময় চেয়েছেন ২০৪১ সাল পর্যন্ত। আমি মনে করি যে গতিতে আমাদের নেত্রী এগিয়ে চলছেন তাতে ২০৩০ সালের মধ্যে এই লক্ষ্যে পৌঁছা সম্ভব। তবে তার জন্য একমাত্র পথ হলো বাকশাল।’

এ সময় মন্ত্রী বাকশালের দুটো দিক তুলে ধরে দেশকে এগিয়ে নিতে এর অর্থনৈতিক প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন।

মোজাম্মেল হক আরো বলেন, ‘আমরা যদি দেশরত্নের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তার সেই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে পারি তাহলেই বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকী পালন সার্থক হবে।’

অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুকে ‘হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি” না বলার জন্য অনুরোধ করে মন্ত্রী বলেন, আমরা এটি সংশোধন করে ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি’ বলব। কারণ বিবিসির জরিপসহ আন্তর্জাতিক যত অ্যাসেসমেন্ট হয়েছে সব জায়গায় “সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি” বলা হয়েছে। আর ‘হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি’ বললে প্রশ্ন উঠে এর আগে শ্রেষ্ঠ বাঙালি কে ছিল।

অনুষ্ঠানে মূখ্য আলোচক হিসেবে ছিলেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

 

১৫ আগস্ট দীক্ষা নেওয়ার দিন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্রতি শোক দিবসে আমরা যে প্রত্যয়ের কথা বলি সেটি দৃঢ় ভাবে মনে অন্তরে, স্নায়ুতে, তন্দ্রে, সবত্র ধারণ করতে হবে।

‘যে ব্যক্তি নিজের শিকড়ের কথা জানে না, অস্তিত্বের কথা জানে না সে কিভাবে স্বাভাবিক অবস্থায় নাগরিক হিসেবে তার মৌলিক অধিকার দাবি করতে পারে।’

এ সময় তিনি ছাত্রলীগ সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের প্রতি  অনুরোধ জানান যেন তারা নিজ কর্মীদের বিভিন্ন বিষয়ে ক্লাস নেয়।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহমুদ আলী বলেন, ‘আমরা বঙ্গবন্ধুকে রক্ষা করতে পারিনি। এই শোকের মাসে আমাদের প্রতিজ্ঞা হোক আমরা আমাদের নেত্রীকে রক্ষা করব।’

তিনি বলেন, ‘আমরা এমন এক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র চাই যেখানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি দেশ পরিচালনা করবে আর যেখানে বিরোধী দলও থাকবে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি।’

অ্যাডভোকেট মোল্লা মো আবু কাউছারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আইন সমিতি র সাধারণ সম্পাদক মোহা. মাহফুজুর রহমান আল মামুন।

ঢাকাটাইমস/২৫আগস্ট/ইএস