হলি আর্টিজানে হামলা: আরও তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ
রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলা মামলায় আরও তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছে ট্রাইব্যুনাল।
তারা হলেন- গুলশান থানাধীন ইউনাইটেড হাসপাতালের সিনিয়র হাউজ অফিসার সাদিয়া ইসলাম স্বর্ণা, একই প্রতিষ্ঠানের নাদিম মহবুব এবং কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের পুলিশ পরিদর্শক মো. শফিউদ্দিন শেখ।
মঙ্গলবার ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ করে ২৯ আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী দিন ঠিক করেন। এই তিনজনকে নিয়ে মামলাটিতে ১০০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো। মামলাটির চার্জশিটে মোট ২১১ জন সাক্ষী রয়েছে।
মঙ্গলবার সাক্ষ্য দেয়া শফিউদ্দিন শেখ জবানবন্দিতে বলেন, সন্ত্রাসী হামলার সংবাদ পেয়ে তারা একটা টিম হলি আর্টিজান বেকারিতে রাত নয়টার দিকে পৌঁছলে সন্ত্রাসীরা তাদের লক্ষ্য করে বোমা ও গুলি ছোড়ে। জবাবে তারা পাল্টা গুলি চালায়। ওই সময় দেশি-বিদেশি ২২ জনের বেশি আহত হন। আহতদের ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তি অবস্থায় এসি রবিউল ও ওসি সালাউদ্দিন মারা যান।
অপর দুই সাক্ষী ইউনাইটেড হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসা দেয়া সংক্রান্ত সাক্ষ্যপ্রদান করেন।
সাক্ষ্য গ্রহণকালে আসামি মামুনুর রশীদ ওরফে রিপন, শফিকুল ইসলাম ওরফে খালেদ, হামলার মূল সমন্বয়ক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক তামিম চৌধুরীর সহযোগী আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আবু জাররা ওরফে র্যাশ, ঘটনায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহকারী নব্য জেএমবি নেতা হাদিসুর রহমান সাগর, নব্য জেএমবির অস্ত্র ও বিস্ফোরক শাখার প্রধান মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, জঙ্গি রাকিবুল হাসান রিগ্যান, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব ওরফে রাজীব গান্ধী ও হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী আব্দুস সবুর খান (হাসান) ওরফে সোহেল মাহফুজকে কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গিরা হামলা চালিয়ে ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে। জঙ্গিদের গ্রেনেড হামলায় ডিবি পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন নিহত হন।
ঢাকাটাইমস/২৭আগস্ট/আরজে/এমআর