ঠাকুরগাঁওয়ে নেশাজাতীয় খাবার খাইয়ে দুই লাখ টাকা লুট
খাবারে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে পরিবারের সবাইকে অজ্ঞান করে ট্রাফিক সার্জেন্টের বাসা হতে নগদ দুই লাখ টাকা, মোবাইল ফোন ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে গেছে।
গত বুধবার রাতে সদর উপজেলার কানিকশালগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে ওই পরিবারের ছয়জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
হাসপাতালে ভর্তিরা হলেন- মুক্তিযোদ্ধা ইব্রাহিম খলিল, তার স্ত্রী রাজিয়া বেগম, ছেলে ট্রাফিক সার্জেন্ট শাহাদত আলী, পুত্রবধূ বন্যা আকতার, ভায়েরা আজিজুল হক, নাতি আরমান আলী।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার কানিকশালগাঁও গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা ইব্রাহিম খলিলের পরিবারের লোকজনকে বুধবার দুপুরের খাবারে কে বা কারা নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে দেয়। দুপুরের খাবার খেয়ে ইব্রাহিম খলিলের পরিবারের বেশিরভাগ সদস্য বিকালে ঘুমিয়ে পড়েন। সন্ধ্যার দিকে ঘুম থেকে উঠেও অনেকের ঘুমের ভাব না কাটলে তারা বিষয়টিকে স্বাভাবিক মনে করে রাতে খাওয়া-দাওয়া করে ঘুমিয়ে পড়েন।
সকালে ইব্রাহিম খলিলের নাতি আরমান ঘুম থেকে উঠে দেখে বিভিন্ন ঘরের দরজা ভাঙা এবং ঘরের জিনিসপত্র ছড়ানো-ছিটানো পড়ে রয়েছে। তার ডাকাডাকিতে অন্যরা ঘুম থেকে উঠে দেখে যে, ইব্রাহিম খলিলের ঘরের আলমারি ভেঙে তার স্ত্রীর স্বর্ণের চেইন ও দুল এবং তার ছেলে ট্রাফিক সার্জেন্ট শাহাদত আলীর (শাহাবাগ ঢাকায় কর্মরত) মানিব্যাগ ও তার স্ত্রীর নগদ টাকাসহ প্রায় দুই লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
ট্রাফিক সার্জেন্ট শাহাদত হোসেন বলেন, গত ২৬ আগস্ট তিনি ছুটিতে বাসায় আসেন। বুধবার দুপুরে পেলকা শাক দিয়ে ভাত খাওয়ার পর বিকালে পরিবারের সবার ঘুমঘুম লাগছিল। বিষয়টি ফোনে পরিচিত চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলি। পরে রাতের খাবার খেয়ে রাত ১০টায় ঘুমিয়ে পড়ি। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার এবং আমার বাবার ঘরের মালামাল তছনছ করা হয়েছে এবং নগদ টাকাসহ স্বর্র্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে গেছে।
ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ফারহানা আক্তার মিতু বলেন, ‘নেশাজাতীয় খাবার খেয়ে একই পরিবারের ছয়জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে এবং তারা সকলে নিবিড় তত্ত্বাবধানে রয়েছে।
রুহিয়া থানার ওসি প্রদীপ কুমার বর্মন বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
(ঢাকাটাইমস/২৯আগস্ট/এলএ)