ভাড়াটিয়া ভয়ংকর!
প্রকাশ | ২৯ আগস্ট ২০১৯, ১৭:২৩ | আপডেট: ২৯ আগস্ট ২০১৯, ১৭:৫৩
সাভারের আশুলিয়ায় নাজমুল ইসলামের বাড়িতে দশবছর ভাড়া থাকতেন মোহন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে ভাড়া থাকা এই মানুষটিই যে ভয়ংকার ফাঁদ পেতে বসে আছেন তা হয়ত কল্পনাতেও ছিল না নাজমুল ইসলামের।
গত ১ আগস্ট মামলার বাদী তার জমি বিক্রির ১০ লাখ টাকা ব্যাংকে রাখার জন্য বাড়ি থেকে বের হন। পথে ভাড়াটিয়া মোহন কৌশলে তাকে অপহরণ করে মাইক্রোবাসে তুলে নওগাঁ যান। পরে টাকা রেখে বাড়িওয়ালা নাজমুলকে রাস্তায় ফেলে দেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি মোহনের।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের নাজমুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
নাজমুলের আবেদনে ঘটনা তদন্তে নামে ঢাকা জেলার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পিবিআইয়ের জালে আটকা পড়েন মোহন। উদ্ধার করা হয়েছে আট লাখ টাকা। গ্রেপ্তারকৃত মোহন নওগাঁর মনোহরপুর গ্রামের বাদল আলীর ছেলে।
সোমবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সালেহ ইমরানের নেতৃত্বে নওগাঁ সদর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোহনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।
পিবিআই কর্মকর্তা সালেহ ইমরান ঢাকা টাইমস বলেন, আসামির কাছ থেকে নগদ ৫ লাখ টাকা এবং ওই টাকা দিয়ে কেনা একটি নতুন অ্যাপাচি আরটিআর মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
তিনি বলেন, মামলাটি বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে পিবিআই হেডকোয়ার্টার্স স্ব উদ্যোগে গ্রহণ করে। তারপর থানা থেকে মামলা হস্তান্তরের ৪ দিনের মাথায় আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। মামলার বাদী এবং আসামি আগে থেকেই পূর্ব পরিচিত। আসামি মোহন বাদীকে নানা বলে ডাকত।
তিনি আরো জানান, আসামি মোহন টাকার লোভে এই কাজটি করেছে মর্মে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। ইতিমধ্যে তার কাছ থেকে প্রায় ৮ লাখ টাকার মত উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি টাকার মধ্যে এক লাখ টাকা দিয়ে আসামি পক্ষ বাদীর সাথে আপোষ মীমাংসার চেষ্টা করছে। আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/২৯আগস্ট/বিইউ/ইএস)