ইভটিজিং: কনস্টেবলকে তরুণীদের জুতাপেটা

ব্যুরো প্রধান, রাজশাহী
 | প্রকাশিত : ৩০ আগস্ট ২০১৯, ১১:৩৬
ফাইল ছবি

মদ্যপ অবস্থায় ইভটিজিং করার অভিযোগে রাজশাহীতে এক পুলিশ সদস্যকে জুতাপেটা করেছেন কয়েকজন তরুণী।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে রাজশাহী মহানগরীর লক্ষ্মীপুর কাঁচাবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর নগরীর রাজপাড়া থানা পুলিশ তাকে আটক করে নিয়ে যায়।

অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবলের নাম সাব্বির হোসেন। তিনি রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) পবা থানায় কর্মরত ছিলেন। রাতেই তাকে এই থানা থেকে প্রত্যাহার দেখানো হয়েছে। বর্তমানে তাকে আরএমপির পুলিশ লাইনে রাখা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে আরএমপি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাব্বির হোসেন লক্ষ্মীপুর কাঁচাবাজার এলাকায় একটি বাড়িতে পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকেন। তিনি প্রায় প্রতিদিনই কাঁচাবাজারে বসে নারীদের উত্তক্ত্য করতেন। বৃহস্পতিবার রাতেও মদ্যপ অবস্থায় এলাকার এক তরুণীকে কটূক্তি করেন তিনি।

এ সময় ওই তরুণী পায়ের জুতা খুলে কনস্টেবল সাব্বিরকে পেটাতে শুরু করেন। এ সময় তার সঙ্গে আরও কয়েকজন তরুণী তাকে পেটান। ঘটনাটি দেখতে পেয়ে এলাকার লোকজন এগিয়ে আসেন। তখন পালিয়ে গিয়ে একটি বাসায় ঢোকেন সাব্বির। কিন্তু এলাকার লোকজন বাড়িটি ঘিরে রাখেন। এ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দেয়।

খবর পেয়ে রাজপাড়া থানা পুলিশের একটি দল কনস্টেবল সাব্বিরকে বাড়ি থেকে আটক করে নিয়ে যায়। এরপর পরিস্থিতি শান্ত হয়।

সাব্বির মাদক সেবন করেছেন কি না তা জানতে ‘ডোপ টেস্ট’ করানোর জন্য আটকের পর রাত ১১টার দিকে পুলিশ সদস্যকে লক্ষ্মীপুর এলাকায় ‘পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার’ নামের একটি রোগ নির্ণয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ততক্ষণে রোগ নির্ণয় কেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে যায়।

রাত ১১টা ১৫ মিনিটে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে পুলিশের পিকআপ ভ্যানে সাদাপোশাকে কনস্টেবল সাব্বির হোসেনকে বসে থাকতে দেখা যায়। ওই সময় গাড়ির পাশে দাঁড়িয়ে রাজপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হায়দার আলী খান মুঠোফোনে তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলছিলেন। পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের বিষয়টি জানিয়ে তিনি এখন তাদের করণীয় সম্পর্কে জানতে চাইছিলেন।

গাড়িতে বসা অবস্থায় কনস্টেবল সাব্বির হোসেনের কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। তিনি বলেন, এটা একটা দুর্ঘটনা। মদপানের বিষয়ে জানতে চাইলে সাব্বির বলেন, ‘অল্প একটু খাই। এ সময় সাংবাদিক দেখে পিকআপ ভ্যানটি দ্রুত সেখান থেকে রাজপাড়া থানায় নিয়ে চলে যাওয়া হয়।’

আরএমপির মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস শুক্রবার সকালে ঢাকাটাইমসকে বলেন, কনস্টেবল সাব্বিরের বিরুদ্ধে কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। কিন্তু যেহেতু একটা অভিযোগ উঠেছে তাই তাকে থানা থেকে রাতেই প্রত্যাহার করা হয়েছে। এরপর তাকে পুলিশ লাইনে রাখা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে পরে আর ডোপ টেস্ট করানো হয়েছে কি না তা তিনি জানাতে পারেননি।

ঢাকাটাইমস/৩০আগস্ট/আরআর/এমআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :