ইউইবিতে ‘নারীর চাকরিজীবন সহজ-কঠিন’ শীর্ষক আলোচনা

অনলাইন ডেস্ক
| আপডেট : ৩০ আগস্ট ২০১৯, ১৮:৫৫ | প্রকাশিত : ৩০ আগস্ট ২০১৯, ১৮:৪০

গত ২৯ আগস্ট ২০১৯, ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের আয়োজনে ‌‌'নারীর চাকরিজীবন-সহজ/কঠিন' শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শারিতা মিল্লাত, আহ্বায়ক ছিলেন ড. ফারজানা আলম। অনুষ্ঠানটির সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালন করেন রাশিদা স্বরলিপি। এটি সঞ্চালনা করেন, মুশফিকা বিনতে কামাল। বেলা ১১টা থেকে শুরু হয়ে গোলটেবিল বৈঠকটি শেষ হয় দুপুর ২টায়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত আলোচকদের বক্তব্য সংক্ষিপ্ত আকারে প্রকাশ করা হলো।

সৈয়দা ফারজানা জামান রুম্পা, সাংবাদিক ও কন্টেন্ট ক্রিয়েটর।

নারীর চাকরিজীবন শুধু নয়, জীবনই কঠিন। তার জীবন সহজ করার জন্য সমাজ কতটুকু সাপোর্ট করছে সেই বিষয়ে বলছি না তাহলে সংশ্লিষ্ট অনেক বিষয় চলে আসবে। বর্তমানের প্রেক্ষিতে বলতে চাই, আমরা যৌথ পরিবার থেকে বের হয়ে আসছি। এই সময়ে নারী পুরুষ একে অন্যের রেসপনসিবিলিটি গ্রহণ করা জরুরি। নারী ৩০-শে পৌঁছে গেলে দ্বন্দ্বের মধ্যে পড়ে যাচ্ছে। এই দ্বন্দ্ব দূর করার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে যুগোপযোগী সিন্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে হবে। দায়িত্ব নিতে হবে রাষ্ট্রকেও, যেমন- ট্রান্সপোর্ট সুবিধা নিশ্চিত করা। যেসব প্রতিষ্ঠান বড় কলেবরে বড় হচ্ছে সেসব প্রতিষ্ঠানকে নারীর পারিপাশ্বিক অবস্থা বিবেচনা করে তার সুবিধা দিতে হবে।

মুর্শিদা জামান, সাহিত্যিক ও ঢাকা ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল কো-অর্ডিনেটর।

দক্ষিণ এশীয় নারীরা অনেক বেশি ইউরিন ইনফেকশনে ভুগে থাকে। তার কারণ বিভিন্ন ট্যাবু, এবং কর্মস্থলগুলোতে আন-হাইজেনিক স্যানিটেশন ব্যবস্থা। এদেশের নারীদের উচ্চতা সাধারণত পুরুষদের চেয়ে কম। কিন্তু কর্মক্ষেত্রগুলো সেই অনুযায়ী কোন চেয়ার বা টেবিলের ব্যবস্থা করা হয় না। ফলে তারা শরীরবৃত্তীয় বিভিন্ন রোগে আক্রন্ত হয়। অন্যদিকে পারিবারিক ও সামাজিক অবস্থান থেকে নারী যখন ক্রমাগত বাধা পেতে থাকে ৪০ বছর পাড় হয়ে যায় শুধু এই বুঝতে যে তার আসলে কোন পেশায় যাওয়া দরকার ছিল। নারীর সিদ্ধান্ত নারীকেই নেওয়ার সুযোগ তৈরি করে দিতে পারে পরিবার।

শতরূপা দত্ত, সাংবাদিক, সময়নিউজ.টিভি।

পারিপাশ্বিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে অনেকেই এখন কন্যা সন্তান আশা করছে না। তারা ভয় পাচ্ছে কন্যার জন্য সঠিক ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না। এই পরিস্থিতিতো সমাজ থেকে তৈরি হয়েছে। এখন প্রশ্ন হলো- সমাজের অসংখ্য-অগণতি মানুষের মানসিকতা পরিবর্তনের দায়িত্ব কে নেবে? একটা মেয়ে কর্মস্থলথেকে গভীর রাতে ফিরলে তাকে সন্দেহের চোখে দেখা হচ্ছে। আমি মনে করি একজন শিক্ষিত মা পারেন তার কন্যাকে এই শিক্ষা দিতে যে-পাছে লোকে কিছু বলে, সে বিষয় পাত্তা না দেওয়া। এছাড়া শিক্ষকরা তাদের ছাত্রীদের এই মানসিক ভিত গড়ে তুলতে সহায়তা করতে পারে।

ওমর শরীফ, সহকারী ফিচার এডিটর, বিডিনিউজ২৪ ডটকম।

প্রাথমিক শিক্ষাগ্রহণের সময় থেকেই ছেলে-মেয়ে অভিন্ন স্কুলে পড়া উচিত। আমাদের সমাজ বলতে সমাজে মানুষেরা কিছু অভ্যসে রপ্ত করে। সামাজিক সমস্যাগুলো তারা অভ্যস্ততার মাপকাঠিতে নির্বাচন করে থাকে। সেই বিচারে একটি মেয়ের বারবার বিভিন্ন বাঁধার মুখে পরতে হয়। যেসব ছেলে মেয়েরা অভিন্ন সুযোগ সুবিধা পেয়ে বড় হয় তাদের কাছে অনেক সমস্যা কোন সমস্যাই নয়। আবার যারা ভিন্ন ভিন্ন সুবিধা বা অসুবিধার মধ্যে বড় হয়, এর প্রভাব কর্মক্ষেত্রেও পড়ে। একজনের জীবনাচারণ-অভ্যাস অন্যজনের জীবন যাপনকে বাধা দেয়।

রনি রেজা, মফস্বল সম্পাদক, ডেইলি বাংলাদেশ.কম।

গ্রামে কুসংষ্কারাচ্ছন্ন মানুষের সংখ্যা বা পরিবারের সংখ্যা বেশি। এরপর গ্রামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে যেসব শিক্ষক পাঠদান করে থাকেন তারা ওয়েল ট্রেইনড হবার সুযোগ অনেক ক্ষেত্রে পান না। পারিপার্শ্বিক অনেক কিছুর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে চলতে তাদের অধিকাংশ মানসিকভাবে পিছিয়ে থাকেন। এই শিক্ষকরা যখন শিক্ষাদান করে থাকেন আমরা তাদের কাছে বেশি আশা করলে ভুল হবে। তাহলে এখন উপায়? উপায় হলো তাদেরকে ওয়েল ট্রেইনড করা। তারাই পারবে এমন একটি কমিউনিটি তৈরি করে দিতে যারা সময়উপযোগি চিন্তা করতে পারবে। তাহলে নারী পুরুষ বৈষম্যের অন্য বিষয়গুলোও চেইনের মতো সামনে চলে আসবে। আসবে সমাধানগুলোও। গ্রাম পর্যায়ে একটি বড় সমস্যা হলো- মজুরিতে বৈষম্য। এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে নারী সোচ্চার হলেই হবে না তার সহযোদ্ধা হিসেবে পুরুষকেও সোচ্চার হতে হবে।

সিরাজুম মুনিরা, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, সারাবাংলা ডটনেট।

২০০৮ সাল থেকে গণমাধ্যমে কাজ করছি। এই মাধ্যমে কাজ করার সুবিধার্থে শুধু গণমাধ্যমের কাঠামো নয় অন্যান্য অনেক পেশা সম্পর্কে জানার সুযোগ সহজে পেয়েছি। আমাদের মূল সমস্যা দুটি জায়গায়, এক-চিন্তা, দুই-পুরো সমাজকাঠামো। এই দুই পর্যায়ের সমস্যা সমাধানের জন্য ব্যক্তি পর্যায়ে চিন্তার উন্নতি না ঘটলে নারী পদে পদে হেনস্তা হবে। তা শারীরিক, মানসিক এবং আর্থিকভাবে। সুতরাং তার শক্তির জায়গা দূর্বল থেকে যাবে। আর সমাজকাঠামোর পরিবর্তন আনতে হলে আইন এবং আইনের যথাযোগ্য বাস্তবায়ন দরকার। পলিসিগত জায়গা থেকে এই পরিবর্তন আসতে হবে। একটি প্রতিষ্ঠান চাইলে তার নারীকর্মীকে রাতের সিফট-এ কাজ করার সুযোগ দিতে পারছে না। তার কারণ কিন্তু শুধুমাত্র ওই প্রতিষ্ঠান নয়- নারী যে কাজ শেষ করে বাসায় ফিরবে সেই পরিবেশতো এখনও পুরোপুরি তৈরি হয়নি। আবার সন্তান লালন পালনের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে যখন চাকরি ছাড়ার প্রসঙ্গ আসে তখন নারীকেই চাকরিটা ছেড়ে দিতে হয়। সমাজ চাকরিহীন পুরুষকে মেনে নিতে রাজী নয়। যদি পরিবারের পুরুষটির থেকে নারীর বেতন বেশিও হয়, তবুও না।

সৈয়দ মাহবুব হাসান, অতিরিক্ত সচিব (অব.), ডিরেক্টর-অ্যাডমিশন ও স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্স, ই.ইউ.বি।

এইচ.এস.সি পর্যন্ত মেয়েদের পাসের হার ছেলেদের সমান বা কোন কোন ক্ষেত্রে তারও বেশি। বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের অংশগ্রহণ প্রায় সমান। সরকারি চাকরিতে কিন্তু নারী-পুরুষের বেতন বৈষম্য নেই। অনেক ক্ষেত্রে মেয়েদের বেশি সুবিধা দেওয়া হয়ে থাকে। একটি চিত্র নিয়ে বলছি। তবে একথাও সত্য অনেক মেয়ে শুধু নিজের বোকামির জন্য ফাঁদে পড়ে। মেয়েদের ঘ্রাণশক্তি অনেক প্রখর হয়। তারা অনেক সমস্যা আগে থেকেই বুঝতে পারে। সমস্যা বুঝতে পেরে যারা রেইজ ভয়েসে কথা বলে তারা সাধারণত সমস্যায় পড়ে না। আর একটি বিষয় হলো মেয়েদের উচিত প্রথমত এবং প্রধানত নিজেই নিজেকে সহায়তা করা।

ড. ফারজানা আলম, সহযোগী অধ্যাপক, ডিরেক্টর এফ.ডি.ই ও চেয়ারম্যান, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ, ই.ইউ.বি।

ফ্যাকাল্টি এবং নন ফ্যাকাল্টি পর্যায়ে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে নারী পুরুষের সংখ্যা প্রায় সমান সমান। কর্তৃপক্ষ নারীদের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে। আজকের এই আয়োজনের আর একটি কারণ হলো, উঠে আসা সমস্যা সমাধানে আমরা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সিদ্ধান্ত নিতে চাই। বলে রাখি, শুধু নারী চাকরিজীবী নয়, অনেক ছাত্রীর উচ্চশিক্ষা গ্রহণের পথ সৃষ্টি হতে পারে যদি তাদের সন্তানদের জন্য ডে-কেয়ার সেন্টার চালু করা যায়। এ বিষয়ে প্রকল্প হাতে নিচ্ছে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ। আমার পরিবার থেকে আমাকে একটি ছেলের সমান সুযোগ সুবিধা দিয়ে বড় করা হয়েছে। কিন্তু সমাজ একটি বিশাল গণ্ডি। সমাজ পরিবর্তন না হলে শুধুমাত্র পরিবার নারীর জন্য সুবিধাজনক পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে না। কিছু সমস্যা আমরা মেয়েরা নিজেরাই তৈরি করে রেখেছি। মেয়েরা মেয়েদের ক্রিটিসাইজ করার বিষয়টি সচারচর ঘটে থাকে। বাদ যায় না কর্মক্ষেত্রেও। শুধু মাত্র এই একটি জায়গায় নিজেদেরকে শুধরে নিলেও এগিয়ে যাওয়ার পথ আরও মশৃণ হতে পারে।

রাশিদা স্বরলিপি, পাবলিক রিলেশন অফিসার ই.ইউ.বি।

একটি মেয়ের চাকরি ছেড়ে দেয়ার বা পরিবর্তন করার সময় আসে কমপক্ষে তিন বার। বিয়ের আগে, বিয়ের পরে এবং মা হওয়ার পরে। এই সময় মানসিক যে অবস্থা তৈরি হয় তার প্রভাব পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র কেউ এড়াতে পারে না। রেইজ ভয়েস, আত্মবিশ্বাস আর নিজেস্বচিন্তা অনেক সমস্যাকে `কোনরকম সমস্যা নয়’ বলে উড়িয়ে দেয়ার সুযোগ করে দিতে পারে। তাই প্রথম সহায়তা নিজের কাছে চাওয়া উচিত। সমাজকাঠামোত যতো বেশি যৌক্তিক সিদ্ধান্ত গৃহীত ও বাস্তবায়িত হবে সমস্যাগুলো ততো দ্রুত সমাধান হবে।

মুশফিকা বিনতে কামাল: সিনিয়র লেকচারার, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ, ই.ইউ.বি।

বর্তমান বিশ্বের ছয়টি দেশ নারীকে পুরুষের সম অধিকার দিচ্ছে। বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, লাটভিয়া, লাকমেবার্গ ও সুইডেন। অথচ নারী বৈষম্যের মাপকাঠিতে বাংলাদেশের সার্বিক স্কোর ৪৯.৩৮। আশার কথা হচ্ছে, বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শুধুমাত্র বেসরকারি খাতেই নারী নিয়োগ ৩৩% নিশ্চিত করার ঘোষণা দিয়েছেন।

আজকের বৈঠকের সভাপতিকে অনুরোধ করবো নারীর পিছিয়ে পড়ার কারণ উল্লেখ পূর্বক সমাধান কিসে হতে পারে তাই নিয়ে আলোচনা করার জন্য।

শারিতা মিল্লাত, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ভেরিটাস ফার্মাসিউটিক্যালস।

আমাদের সমাজের পুরুষকে মনে করা হয় বেশি শক্তিশালী কারণ তার কাছে টাকা আছে, পাওয়ার আছে। আবার অন্যদিকে প্রায় বিশবছর ধরে নারী সফলভাবে দেশ পরিচালিত হচ্ছে সেই বিষয়টিও আমাদের কাছে স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। অর্থনৈতিক এবং মানসিক উন্নয়ন যতো বেশি ব্যালান্স হবে সমাজে নারী ততোবেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। এই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠার জন্য-প্রয়োজন নিজের চেষ্টা, সমাজের, রাষ্ট্রের এবং জব গিভার প্রতিষ্ঠানগুলোর। পরিবার থেকে একটি ছেলে আর মেয়েকে সমান সুযোগ সুবিধা দেয়া হলে সমাজ বার বার মনে করিয়ে দেয়, মেয়েটি উচ্ছৃঙ্খল হয়ে যাবে। এই কারণে অনেক পরিবার সমান সুবিধা দেয়ার মানসিকতা পরিবর্তন করে ফেলে। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, একজন বাবা চাইলে মেয়েকে অনেক দূর এগিয়ে দিতে পারেন। অযৌক্তিক ট্যাবু এবং ট্র্যাডিশনগুলো ভেঙে দিতে হবে। নারী হিসেবে যে সুবিধাগুলো নারীর পক্ষে আছে সেগুলো ১০০% নিশ্চিত করার, উপভোগ করার ক্ষেত্রে নারীকে অভ্যস্ত হতে হবে।

উল্লেখ্য: বৈঠক শেষে আলোচকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিয়ম করেন ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মকবুল আহমেদ খান।

এই সময় তিনি বলেন- ‘ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ ছাত্রীদের উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য টিউশন ফিয়ের ওপর সর্ব্বোচ্চ ১০০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দিয়ে থাকে। শুধু ছাত্রী নয় ছাত্রদেরও পূর্ণ ও খণ্ডকালীন কাজের সুযোগ দিয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের পথ সহজ করে দিচ্ছে। আপনারা যারা কলমবাজ আছেন, বিষয়টি আর্থিকভাবে পিছিয়ে পরা বা সুযোগের অভাবে শিক্ষাসুযোগ থেকে বঞ্চিত হওয়া শিক্ষার্থীদের জানাবেন।‘

এছাড়াও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার এ.এফ.এম গোলাম হোসেন।

ঢাকাটাইমস/৩০আগস্ট/ এসআর/ ইএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :