লক্ষ্মীপুরে পাঁচ ছাত্রীকে যৌন হয়রানি, তদন্ত কমিটি

প্রকাশ | ৩১ আগস্ট ২০১৯, ২০:৫৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, লক্ষ্মীপুর

খাতায় নম্বর বেশি দেয়ার আশ^াস এবং ফেল করানোর ভয় দেখিয়ে পাঁচ শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে লক্ষ্মীপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের শিক্ষক লিটন চন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার বিচার চেয়ে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই শিক্ষার্থীরা। ঘটনা খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিট গঠন করেছে কর্তৃপক্ষ।

এসব বিষয়ে বাড়াবাড়ি না করতে অভিভাবকদের নানাভাবে চাপ দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মাহাবুবুর রশিদ তালুকদার। ঘটনার পর অভিযুক্ত শিক্ষক লিটন চন্দ্র সরকারকে ছুটিতে পাঠিয়েছে কর্তৃপক্ষ। অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

অভিযোগ সূত্রে ও  স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, লক্ষ্মীপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সিনিয়র শিক্ষক লিটন চন্দ্র সরকার। দীর্ঘদিন ধরে ৯ম-১০ম (ভোকেশনাল) শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠানের সামনের এ ঘরে প্রাইভেট পড়াতেন তিনি। এ সুযোগে প্রায়ই শিক্ষার্থীদের যৌন নিপীড়ন করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি ৯ম শ্রেণির পাঁচ শিক্ষার্থীকে আলাদাভাবে ওই ঘরে যৌন নিপীড়ন করেন শিক্ষক লিটন চন্দ্র সরকার।

অভিযুক্ত শিক্ষক লিটন চন্দ্র সরকারের বিচার চেয়ে ২১ আগস্ট অধ্যক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয় ওই শিক্ষার্থীরা।

এর পরের দিন প্রতিষ্ঠানের উপাধ্যক্ষ মির্জা ফিরোজ হাসানকে প্রধানকে করে তিন সদস্য একটি তদন্ত কমিট গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্য হলেন- প্রতিষ্ঠানের চিফ ইনস্ট্রাক্টর ইলেকট্রনিক্্র আরিফুর রহমান ও লাভলী ত্রিপুরা। ওই কমিটি আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার কথা রয়েছে।

শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানান, অভিযুক্ত শিক্ষক লিটন চন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দিতে তাকে ছুটিতে পাঠিয়ে দেন প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মাহাবুবুর রশিদ তালুকদার। উল্টো অধ্যক্ষ অভিযুক্ত শিক্ষক লিটন চন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে আনীত লিখিত অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন তারা।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক লিটন চন্দ্র ঘটনাটি অস্বীকার করে জানান, তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুর রিদোয়ান আরমান শাকিল জানান, কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পাঁচ শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। ঘটনার প্রমাণ পেলে শাস্তি পেতে হবে ওই শিক্ষককে বলে জানিয়েছেন তিনি।

(ঢাকাটাইমস/৩১আগস্ট/এলএ)