হরমোন থেরাপিতে ব্রেস্ট ক্যানসারের ঝুঁকি
ধারাবাহিকভাবে হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি করালে নারীদের ব্রেস্ট ক্যানসারের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।ওয়েস্ট্রোজেন থেরাপির থেকে একসঙ্গে ওয়েস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টোরেন থেরাপির ফলে বেশিমাত্রায় শরীরে বাসা বাঁধতে পারে এই মারণব্যাধী। বিশ্বখ্যাত চিকিৎসা সাময়ীকী ল্যানচেটের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
এক লক্ষ মহিলাদের উপর সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গিয়েছে, হরমোন থেরাপির জেরে বেশিরভাগ মহিলাদের মধ্যে ব্রেস্ট ক্যানসারের লক্ষণ দেখা গিয়েছে। এই প্রথম বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন যে, পাঁচ বছরের কম মেনোপজাল হরমোন থেরাপি ব্যবহার করলে মহিলাদের মধ্যে ব্রেস্ট ক্যানসারের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশানাল ইউনিভার্সিটির এপিডেমিওলজির প্রফেসর এমিলি ব্যাংকস জানিয়েছেন, অনেক চিকিত্সকই টানা পাঁচবছর ধরে হরমোন থেরাপির ওষধ প্রেসক্রাইব করেন। তারা এও বলেন, এতে সাইড এফেক্ট তো নেই, ব্রেস্ট ক্যানসারের জন্য অনেক সেফ। এই তথ্যই ভুল প্রমাণ করে দিয়েছে এই সমীক্ষা।
টানা পাঁচ বছর ধরে এইচআরটির জেরে ৫০ বছর বয়সি মহিলাদের মধ্যে বেশি মাত্রায় ব্রেস্ট ক্যানসারের লক্ষণ দেখা গিয়েছে। এর মধ্যে একসঙ্গে ওয়েস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টোরেন থেরাপিতে বেশি সংখ্যক মহিলাদের মধ্যে দেখা গিয়েছে এই মারণ রোগ। ৬০ জন মহিলার মধ্যে ৫০ জনের শরীরেই মিলেছে ক্যানসার কোষ। অন্যদিকে টানা কয়েক বছর হলেও, শুধুমাত্র ওয়েস্ট্রোজেন থেরাপির ফলে ২০০ মহিলার মধ্যে একজনের শরীরে পাওয়া গিয়েছে ক্যানসার কোষ।
তাই ব্রেস্ট ক্যানসারের সম্ভাবনা দূর করতে মহিলাদের মধ্যে হরমোন থেরাপি বন্ধ করার কথা জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়া খাবার থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যের বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
ঢাকা টাইমস/০১সেপ্টেম্বর/একে