তাহেরীর বিরুদ্ধে মামলা খারিজ
ইসলাম ধর্মকে ব্যঙ্গ করার অভিযোগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল ধর্মীয় বক্তা গিয়াস উদ্দিন আত-তাহেরীর বিরুদ্ধে যে মামলা করা হয়েছে তা খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন মামলাটি গ্রহণ করার মতো পর্যাপ্ত উপাদান না থাকায় তা খারিজ করে দেন। ট্রাইব্যুনালের পেশকার শামীম আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত রবিবার ঢাকায় বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক আ স ম জগলুল হোসেনের আদালতে মামলাটি করেছিলেন আইনজীবী ইব্রাহিম খলিল। বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে সোমবার আদেশ দেবেন বলে আদালত জানায়। পরে সোমবার আদেশ না দিয়ে মঙ্গলবার রায় দেয়ার জন্য দিন ধার্য করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছিল, ইসলাম ধর্মের পথপ্রদর্শক হজরত মোহম্মদ (সা.) এর আদর্শ ও পবিত্র ধর্মগ্রন্থ ওয়াজ মাহফিলের মধ্যে নাচ-গান সমর্থন করে না। ইসলামের রীতিনীতি অনুযায়ী আসামির কর্মকাণ্ড মুনাফেকির শামিল। ওয়াজের মধ্যে গান গাওয়া ইসলাম সমর্থন করে না। এক ব্যক্তির উক্তি দিয়ে তার বিড়ি খাওয়ার দোয়াটিও ইসলামের কোথাও নেই। তার এসব বক্তব্যে ইসলাম ধর্মকে ব্যঙ্গ ও অবমাননা করা হয়েছে।’
বাদী ইব্রাহিম বলেন, ‘বসেন বসেন বইসা যান, ঢেলে দেই' এসব বাক্য ওয়াজে ব্যবহার করা হয়, যা সম্পূর্ণ অশ্লীল। ইসলাম ধর্মে এ রকম শব্দের উল্লেখ নেই। কিছু কিছু ইউটিউবারকে তিনি ধান্দাবাজ বলেও উল্লেখ করেন।’
বাদী বলেন, ‘আসামি তাহেরীর এসব কর্মকাণ্ড ইসলামে বিদাত বলে গণ্য। তিনি ইসলাম ধর্মের অপপ্রচারকারী। ইউটিউব, ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে তার প্রচারিত ভিডিওতে দেখা যায় তিনি ওয়াজের মধ্যে নাচ, গান করেন। ভক্তদের নিয়ে জিকিরের নামে নাচ-গান করেন।’
মামলার অভিযোগে বাদী বলেন, এ বিষয়ে তিনি গত ৩১ আগস্ট কোতয়ালী থানায় মামলা করতে গিয়েছিলেন। তবে থানা কর্তৃপক্ষ মামলাটি না নিয়ে আদালতে দায়েরের পরামর্শ দেয়।
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে জিকিরের সময় নেচে-গেয়ে ‘বসেন বসেন, বইসা যান’বলায় সমালোচিত হন তাহেরী। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকে নিয়ে তৈরি হয়ে নানা ট্রল ও ভিডিও। এরপর কিছুদিন ওয়াজ বন্ধ রেখেছিলেন তিনি। সম্প্রতি ফের আলোচনায় আসেন এই বক্তা।
ঢাকাটাইমস/৩সেপ্টেম্বর/এমআর