জাবিতে প্রশাসনিক ভবন অবরোধ

প্রকাশ | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৯:০৪

জাবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতি ও অস্বচ্ছতার অভিযোগে তিন দফা দাবিতে প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করেছে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার সকাল নয়টা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত দুইটি প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করে রাখায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল।

এদিকে বিকাল তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্যদের একাংশের সংবাদ সম্মেলনে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ ভিত্তিহীন ও মিথ্যাচার বলে দাবি করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সিনেট সদস্য অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদার বলেন, ‘ঠিকাদার তাদের কাজ শেষে পর্যাক্রমে বিল জমা দিয়ে মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ ছাড়ের পরই কেবল যথাযথ নিরীক্ষা কার্যক্রমের মধ্যদিয়ে বিল পরিশোধ হয়। কিন্তু যেখানে কাজ শুরুই হয়নি, সেখানে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ অযৌক্তিক।’

আন্দোলনকারীদের দাবি, ‘বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হল ঘিরে দশ তলাবিশিষ্ট তিনটি নতুন হলের জন্য স্থান পুনঃনির্ধারণ, সব ধরনের অংশীজনদের সাথে আলাপ-আলোচরনার মাধ্যমে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন এবং মেগা প্রজেক্টের টাকার দুর্নীতির অভিযোগের বিচার বিভাগীয় তদন্ত করা।’

আন্দোলনে অংশ নেয়া নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস বলেন, ‘আমরা তিনটি দাবি নিয়ে বারবার বলে এসেছি। এত বড় উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে প্রশাসনের নীরবতাই ও তড়িঘড়ি করে প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনগণের অর্থের সঠিক বাস্তবায়ন হবে না। যেহেতু উপাচার্র্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে- সেজন্য উচ্চতর তদন্ত কমিটি প্রয়োজন।’ 

অপরদিকে উল্লিখিত অভিযোগের সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ও রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটের রেজিস্ট্রার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধিরা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই মেগা প্রকল্পের দেয়া প্রস্তাব, মাস্টারপ্ল্যান কারা করবে, তাতে কি কি বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকবে এবং কোন কোন স্থাপনা তৈরি করা হাবে তা সিন্ডিকেট ও সিনেট সভায় মতামত গ্রহণ বা অনুমোদন নেয়া হয়নি।

তারা অভিযোগ করে বলেন, ‘মাস্টারপ্ল্যান করার সময় বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়নি। মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের যে কমিটি হয়েছে তাদের কারো এত বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের যোগ্যতা নেই। অনুগত ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে উপাচার্য অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় আর্কিটেক্ট ফার্ম নির্বাচন করেন।’

(ঢাকাটাইমস/৩সেপ্টেম্বর/এলএ)