‘মৃত ভেবে স্কুলছাত্রকে রাস্তায় ফেলে যায় ওরা’

প্রকাশ | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ২২:৫৮ | আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ২২:৫৯

ভোলা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

ভোলায় হত্যার উদ্দেশ্যে সাগর (০৯) নামে এক স্কুলছাত্রকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মারধরের পর তাকে মৃত ভেবে রাস্তায় ফেলে যায় হামলাকারীরা। ভোলার লালমোহন উপজেলার চরভূতা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের হরিগঞ্জ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

মারধরের শিকার সাগর ওই এলাকার মাকসুল হায়দারের ছেলে ও স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র। বর্তমানে সাগর গুরুতর আহত অবস্থায় সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

আহত শিশুর পিতা মাকসুল হায়দার জানান, সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আমার ছেলে ঘর থেকে বের হয়ে বাড়ির সামনে আসে। ওই সময় একই এলাকার শফিজলের মেয়ে স্বপ্না ও নুরে আলমের ছেলে রিকা তাকে মুখ চেপে পাশের একটি নির্জন স্থানে নিয়ে বুকে ও পেটে লাথি মারে এবং গলা চাপ দিয়ে ধরে। ওই সময় সাগর জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তারা মৃত ভেবে তাকে রাস্তার পাশে ফেলে চলে যায়। পরে ওই স্থান দিয়ে এক পথচারী যাওয়ার সময় সাগরকে পরে থাকতে দেখে চিৎকার দেয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় সাগরকে উদ্ধার করে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

তিনি আরো জানান, স্বপ্নার পিতা শফিজল ও রিকার পিতা নুরে আলমের সাথে আমাদের জমি-জমা নিয়ে দীর্ঘ দিন দ্বন্দ্ব চলছিল। তারা কয়েকবার আমার সন্তানকে হত্যার করার হুমকি দিয়েছে। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শফিজলের ও নুরে আলম পরিকল্পিতভাবে আামর ছেলেকে হত্যার জন্য তাদের সন্তানদের দিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তিনি এর সাথে জড়িতদের উপযুক্ত বিচারের দাবি করেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শফিজল ও নুরে আলমের মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।

লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর খায়রুল কবির জানান, এখন পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থ গ্রহণ করা হবে।

(ঢাকাটাইমস/৩সেপ্টেম্বর/এলএ)