মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অমান্য করে চলছে আরএমপির দপ্তর নির্মাণ

ব্যুরো প্রধান, রাজশাহী
 | প্রকাশিত : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৯:০৮
মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অমান্য করে চলছে রাজশাহী মহানগর পুলিশের সদর দপ্তর নির্মাণের কাজ। ছবিটি গতকাল বুধবার দুপুরে তোলা।

জেলা পরিষদের জমি দখল করায় রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) সদরদপ্তর নির্মাণকাজ বন্ধ রাখতে চিঠি দিয়েছিল স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। কিন্তু সেই নির্দেশ অমান্য করে নির্মাণকাজ চলছেই।

গতকাল দুপুরে নগরীর সিঅ্যান্ডবি মোড়ে জেলা পরিষদের সদর ডাকবাংলোর জমিতে গিয়ে দেখা গেছে, ইতিমধ্যেই ভেঙে ফেলা হয়েছে ডাকবাংলো। বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য পাইলিংয়ের কাজও শেষ। এখন ঢালাইয়ের জন্য রড সাজাচ্ছেন শ্রমিকরা। বুধবারও অর্ধশতাধিক শ্রমিককে এই কাজে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়।

অথচ কাজ বন্ধ রাখতে গত ১ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের জেলা পরিষদ অধিশাখার উপসচিব ড. জুলিয়া মঈন আরএমপির কমিশনারের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন। চিঠিতে বলা হয়েছে, জেলা পরিষদের জমিতে আরএমপির সদরদপ্তর নির্মাণ নিয়ে সৃষ্ট বিরোধ নিরসনে গত ২২ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই সভায় একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে জমির মাপজোখ করে জমির বিরোধ নিষ্পত্তি করবে। তাই বিরোধ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নির্মাণ কাজবন্ধ রাখার অনুরোধ করা হয় ওই চিঠিতে।

প্রসঙ্গত, সিঅ্যান্ডবি মোড়ে ৫ দশমিক ৯৫ একর জমি নিয়েছিল জেলা পরিষদের ডাকবাংলো। এর মধ্যে জমির পশ্চিম দিক থেকে ১ দশমিক ৩৯ একর নগর পুলিশের (আরএমপির) কাছে বিক্রি করে জেলা পরিষদ। আর পূর্বের অংশের ডাকবাংলো ভাড়া নিয়ে চলছিল আরএমপি সদরদপ্তরের কার্যক্রম। সম্প্রতি পুরো জমিটি দখলে নিয়ে সদরদপ্তরের নির্মাণ কাজ শুরু করে আরএমপি। এ অবস্থায় অনুষ্ঠিত হয় আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা। তারপরই কাজ বন্ধ রাখার জন্য চিঠি দেয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।

তারপরেও কাজ বন্ধ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে জেলা পরিষদের সদস্য ও স্থাপনা কমিটির আহ্বায়ক আবুল ফজল প্রামাণিক ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘জমি আমাদের সেটা প্রমাণ হবে। আমরা এক বিন্দুও জমি ছাড়ব না। কিন্তু এখন গায়ের জোরে ভবন নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য বিভাগীয় কমিশনারকে আহ্বায়ক করে একটি কমিটি হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের যৌথসভাতেই এই কমিটি গঠন হয়েছে। সুতরাং কমিটির নিষ্পত্তি করে দেয়ার আগে কাজ চালিয়ে যাওয়া ঠিক হচ্ছে না। আমরা কাজ বন্ধ রাখার জন্য দাবি জানাচ্ছি।’

জানতে চাইলে আরএমপির মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আমাদের কাছে পাঠানো চিঠিটি এখনো আমরা হাতে পাইনি। তবে আমাদের নির্মাণকাজ করছে গণপূর্ত অধিদপ্তর। তারা একটি চিঠি পেয়েছে। তাই কাজ বন্ধ থাকারই কথা। কাজ চলছে কি না তা আমার জানা নেই।’

কাজ চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে কথা বলতে রাজশাহী গণপূর্ত অধিদপ্তর-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ রানাকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। তাই এ ব্যাপারে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

ঢাকাটাইমস/৫সেপ্টেম্বর/আরআর/এমআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :