ইস্ট ডেল্টায় ক্যারিয়ার নিয়ে কর্মশালা
গ্র্যাজুয়েশন শেষে ক্যারিয়ার গঠন নিয়ে চিন্তিত থাকে না এমন কেউ নেই। নানা ধরনের দুশ্চিন্তা ও ভয় দানা বাঁধে শিক্ষার্থীদের মাঝে। এ ভয় কাটাতে নিজেকে প্রস্তুত করে তুলতে হয় শিক্ষাজীবনেই। এ লক্ষ্যে ইন্টার্নশিপের আবেদন করা শিক্ষার্থীদের জন্য ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি আয়োজন করেছিল ‘ইন্টার্নশিপ রঁদেভূ’ শিরোনামে এক কর্মশালা।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় ইডিইউ স্থায়ী ক্যাম্পাসের সেমিনার কক্ষে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের বিপণন কর্মকর্তা শান ফারাবি ও রিজেন্সি গার্মেন্টস লিমিটেডের মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান মিজানুর রহমান।
প্রতিযোগিতাপূর্ণ চাকরির বাজারে প্রবেশের জন্য শিক্ষার্থীরা কিভাবে নিজেকে প্রস্তুত করে তুলবে কর্মশালায় এ সংক্রান্ত বিস্তারিত আলোচনা হয়। সিভি ও কভার লেটার লেখা থেকে শুরু করে জব ইন্টারভিউর নানা খুটিনাটি বিষয় উঠে আসে এ আলোচনায়।
বক্তারা বলেন, শিক্ষাজীবনেই নিজেকে গড়ে তুলতে হবে, প্রস্তুতি নিতে হবে ভবিষ্যৎ প্রতিযোগিতার। পড়াশোনায় ভালো ফল অর্জনের পাশাপাশি নানা সামাজিক-সাংগঠনিক কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে হবে।
ইন্টারভিউতে ঘাবড়ে না গিয়ে স্বতঃস্ফূর্ত থাকার পরামর্শ দেন আলোচকদ্বয়। তারা বলেন, চাকরিতে প্রবেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো ইন্টারভিউ। ইন্টারভিউতে পজিটিভ থেকে চাকরিদাতাদের কাছে নিজেকে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে হবে। চাকরির ধরণ বুঝে নিজের প্রস্তুতি নিতে হবে।
এতে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইডিইউর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট ডিরেক্টর শাফায়েত কবির চৌধুরী। তিনি বলেন, চাকরির আগেই অভিজ্ঞতা অর্জন খুব জরুরি এখন। এক্ষেত্রে ইন্টার্নশিপ একটি সুবর্ণ সুযোগ। এক্ষেত্রে সিভি ভালো হওয়ার পাশাপাশি কর্মপরিবেশ ও কর্মক্ষেত্র কেমন হবে, তা সম্পর্কে বাস্তব ধারণা পাওয়া যায়। এছাড়া নিজের অপূর্ণতা ও সক্ষমতা সম্পর্কেও জানা যায় ইন্টার্নশিপে।
ইডিইউর প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান বলেন, চাকরিপ্রার্থীর অবশ্যই চাকরির বাজার সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা থাকা জরুরি। বিভিন্ন কর্মশালা-সেমিনার আয়োজনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ সংক্রান্ত সচেতনতা তৈরি করছে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি। এর পাশাপাশি ইন্টারন্যাশনাল গ্র্যাজুয়েট লিডারশিপ এক্সপেরিয়েন্স প্রোগ্রামের অধীনে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন উন্নত দেশে নিয়ে যাচ্ছি আমরা, যাতে সেখানকার বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো পরিদর্শনের মাধ্যমে বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে। যা পরবর্তীতে কর্মক্ষেত্রে নেতৃত্ব প্রদানে ইডিইউ গ্র্যাজুয়েটদের অধিকতর সক্ষম করে তুলবে।
এতে আরো উপস্থিত ছিলেন ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির নেটওয়ার্কিং অ্যান্ড প্লেসমেন্ট সেলের কর্মকর্তারা। তারা গ্র্যাজুয়েটদের ইন্টার্নশিপ ও চাকরিপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে কাজ করেন।
উল্লেখ্য, রাজধানী ঢাকাসহ চট্টগ্রামের প্রায় প্রতিটি বড় প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে ইডিইউর গ্র্যাজুয়েটরা কর্মরত আছেন।
(ঢাকাটাইমস/৫সেপ্টেম্বর/এলএ)