ছেলেদের গৃহস্থালি কাজ শেখায় স্পেনের বিশ্ববিদ্যালয়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৮:৪৯ | প্রকাশিত : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৮:২৬

গৃহস্থালি কাজে পুরুষকে সঙ্গী হিসেবে পাওয়া প্রায় সব নারীর ভাগ্যে ঘটে না। যদিও ইদানীং বিষয়টি নিয়ে অনেক কথা বলা হচ্ছে।

স্পেনের একটি বিদ্যালয়ে পড়ালেখার পাশাপাশি গৃহস্থালি কাজ যেমন রান্না, কাপড় সেলাই, ঘর পরিষ্কার, পানির পাইপ লাগানো, কাঠের বিভিন্ন আসবাবপত্র ঠিক করাসহ ঘরের ইলেকট্রিক কাজ শেখানো হচ্ছে।

প্রাথমিকভাবে ছাত্রদের গৃহস্থালি কাজ শেখাতে অনেক বেগ পেতে হয়েছিল। কারণ, বেশিরভাগ এই ধরনের কাজ শিখতে রাজি ছিল না। তাদের ধারণা, এই ধরনেরকাজ পুরুষের পক্ষে বেমানান।

কিন্তু বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও তাদের বাবা-মার প্রচণ্ড উৎসাহের কারণে ছাত্রদের মধ্যে গৃহস্থালি কাজ শেখার আগ্রহ তৈরি হয়েছে।

সবচেয়ে অবাক বিষয় হলো, বিদ্যালয়ে অনেক বাবাও সন্তানের সঙ্গে গৃহস্থালি কাজ শিখছেন। ইতিমধ্যে, গৃহস্থালি কাজের বিষয়ে বাবা-ছেলের মধ্যে দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে।

স্পেনের ওই বিদ্যালয়ে গৃহস্থালি কাজ শেখানোকে ‘নারী বৈষম্য দূরীকরণে’ পথে শক্তিশালী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

পুরুষতান্ত্রিক সমাজে গৃহস্থালি কাজ নারীরা করবে এ ধারণ বদ্ধমূল হয়ে আছে। প্রায় সব স্বামী বাসায় অবসর থাকলেও স্ত্রীকে গৃহস্থালি কাজে সাহায্য করতে চায় না। যদিও অনেক পুরুষের মধ্যেই এই ধরনের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ঘটছে। কিন্তু এখনও সমাজের অধিকাংশ পুরুষ নারীদের প্রতি একই ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি লালন করে।

দেখা যায়, পুরুষরা চাকরি শেষে বাড়ি ফিরে নিজেদের বিশ্রামের সাগরে ভাসিয়ে দেয়। টিভিতে দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, সিনেমা দেখার পাশাপাশি বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে অবসর সময় কাটায়।

অতীতে প্রায় সব নারীর জীবন গৃহস্থালি কাজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। রাষ্ট্রীয় কর্মকা-ে তাদের অংশগ্রহণ খুবই সীমিত ছিল। কিন্তু বর্তমানে তারা ঘরের চার দেয়ালের সীমানাকে অতিক্রম করে নিজেদের মেধার ছাপ রাখছে। ঘর সামলানোর পাশাপাশি এভারেস্ট জয় করাসহ পুরুষের পাশাপাশি সকল কাজে নিজেদের যোগ্যতার ছাপ রাখছে। অনেক ক্ষেত্রে যোগ্যতা বলে বিভিন্ন কাজে পুরুষদেরও অতিক্রম করেছে।

কিন্তু তাসত্ত্বেও নারীদের প্রতি সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির বিশেষ কোনো পরিবর্তন ঘটেনি। এখনও নারীদের চাকরির পাশাপাশি ঘর সামলাতে হয়। পরিবারের সবার জন্য রান্না করা, ঘর পরিষ্কার থেকে শুরু সব সদস্যদের চাহিদা পূরণ করতে রাত দিন পরিশ্রম করতে হয়।

ঢাকাটাইমস/০৬সেপ্টেম্বর/আরআর/ডব্লিউবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :