আপেল সিডার ভিনেগারের উপকারিতা
রান্নাবান্নার কাজে ব্যবহার করা হয় আপেল সিডার ভিনেগার। তবে শুধু রান্নার ক্ষেত্রেই নয়, আপেল সিডার ভিনেগারের উপকারিতার আরও নানা দিক রয়েছে। আপেলের রসে ইস্ট ও ব্যাকটিরিয়া মিশিয়ে তাকে প্রস্তুত করা হয়। স্বাস্থ্যকর নানা কারণে এই ভিনেগারকে ডায়েটে রাখার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরাও।
প্রথম দফায় আপেলের রসের সঙ্গে ইস্ট ফারমেন্টেড হয়ে আপেলের রসকে অ্যালকোহলে পরিণত করে পরের ধাপে তা অ্যাসিটিক অ্যাসিড দিয়ে ফের ফারমেন্টেড করা হয়। অবশেষে তা ভিনেগারে পরিণত হয়।
বিভিন্ন ঘরগৃহস্থালীর কাজে যেমন এই আপেল সিডার ভিনেগার উপকারী, তেমনই শরীরের নানা অসুখবিসুখেও কাজে আসে এটি। এই ভিনেগার সৌন্দর্যরক্ষায়ও কাজে লাগে। কিন্তু ভিনেগার অ্যাসিডিক হওয়ার কারণে তা দৈনিক খাদ্যতালিকায় যোগ করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।
দিনে বড় চামচের দু’চামচের বেশি আপেল সিডার খাবেন না, খেলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নেবেন। এছাড়া যখনই এই ভিনেগার খাবেন, তা অবশ্যই পানির সঙ্গে মিশিয়ে পাতলা করে ফেলতে হবে। আপেল সিডার ভিনেগারের নানা উপকার রয়েছে। চলুন যেনে নেওয়া যাক সেগুলো-
- আপেল সিডার ভিনেগার ব্যাকটিরিয়া মারতে সক্ষম বলে ডায়রিয়া সমস্যায় বিশেষ উপকারী। এক-দু’ চা চামচ ভিনেগার এক গ্লাস গরম পানিতে মিশিয়ে খেলে উপকার মিলবে।
- ডায়াবিটিসের সমস্যায় এই ভিনেগার উপকারী। মূলত ইনসুলিন তৈরি করতে না পারা বা ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্টের কারণেই রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ে। খাওয়াদাওয়ার আধ ঘণ্টা আগে এক গ্লাস পানিতে এক চামচ আপেল সিডার মিশিয়ে খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
- গলাব্যথার ক্ষেত্রে আধ কাপ ঈষদুষ্ণ পানিতে দু’চামচ আপেল সিডার ভিনেগার ও মধু মিশিয়ে গার্গল করলে আরাম পাবেন অনেকটা।
- হজমের সমস্যাতে মেটাতেও এই ভিনেগার খুব কার্যকর। গরম পানিতে এক চামচ আপেল সিডার ভিনেগারে বদহজম থেকে মুক্তি মেলে সহজেই।
- শ্যাম্পু করার পর চুল ধুয়ে নিন আপেল সিডার ভিনেগার মেশানো পানি দিয়ে। কন্ডিশনারের সমান উপকার পাবেন। চুল নরম হবে, ব্যাকটিরিয়ার উপস্থিতির জন্য খুশকির সমস্যাও কমবে দ্রুত।
- আপনার বিপাক হার (বিএমআর রেট) কেমন তা জেনে প্রতিদিন কতটুকু আপেল সিডার খেলে ওবেসিটি নিয়ন্ত্রণে আসবে তা জানতে পারবেন।
- খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে ও ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে আপেল সিডার ভিনেগার খুবই উপকারী।
ঢাকা টাইমস/০৮সেপ্টেম্বর/একে