আসামির স্ত্রীকে ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার তিনজন রিমান্ডে

প্রকাশ | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৮:৪১

বেনাপোল প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

যশোরের শার্শা উপজেলায় ঘুষ দিতে না পারায় আসামির স্ত্রীকে দলবেঁধে ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার তিনজনকে তিনদিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই)।

রবিবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সাইফুদ্দিন হুসাইন শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। আসামিরা হলেন- শার্শার লক্ষনপুর ইউনিয়নের চটকাপোতা গ্রামের কামরুজ্জামান ওরফে কামরুল (৪০) লহ্মণপুর গ্রামের আব্দুল লতিফ )৩৮) ও আব্দুল কাদের (৪৭)।

যশোর পিবিআই তদন্ত কর্মকর্তা ওসি শেখ মোনায়েম হোসেন জানান, শুনানি শেষে বিচারক তিন আসামির তিন দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছেন। ইতোমধ্যে আসামিদের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। রিমান্ড শেষে আসামিদের ডিএনএ টেস্টের জন্য আলামত সিআইডিতে পাঠানো হবে।
মামলায় অজ্ঞাত আসামি প্রসঙ্গে তদšত কর্মকর্তা শেখ মোনায়েম হোসেন বলেন, অজ্ঞাত আসামি শনাক্তে তদন্ত কাজ চলছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত মন্তব্য করা সম্ভব নয়।

জানা যায়, গত ২ সেপ্টেম্বর শার্শা উপজেলার লহ্মণপুর গ্রামে ওই গৃহবধূর বাড়িতে গভীর রাতে যান এসআই খায়রুল, সোর্স কামরুলসহ চারজন। তারা ওই গৃহবধূর কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে তার স্বামীকে সহজে জামিন পাইয়ে দেয়ার জন্য। এ নিয়ে বাক বিতণ্ডার এক পরযায়ে টাকা না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে এসআই খায়রুল ও কামরুল তাকে ধর্ষণ করে বলে ওই গৃহবধূ সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন। তবে, ধর্ষণে এসআইয়ের জড়িত থাকা নিয়ে বিভ্রান্তিকর স্বীকারোক্তি দিয়েছেন ওই গৃহবধূ।

এ নিয়ে জেলা পুলিশ সুপার জানান, ঘটনা তদন্তে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কমকর্তারা গেলে অভিযুক্ত এসআইকে শনাক্ত করতে পারেননি ভুক্তভোগী। তাই ৩ সেপ্টেম্বর দায়েরকৃত মামলায় এসআই খায়রুলের নাম বাদ দিয়ে তিনজনের নামোল্লেখ করা হয়েছে। এরপর আবার গৃহবধূ সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, এসআই খায়রুলের ভয়ে তিনি তাকে শনাক্ত করেননি।
মামলাটি বৃহস্পতিবার পুলিশ হেড কোয়ার্টার্সের নির্দেশে তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে পিবিআই যশোর। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত করা হয়েছে ইনসপেক্টর শেখ মোনায়েম হোসেনকে।

দায়িত্ব পেয়েই ৬ সেপ্টেম্বর তিনি ওই গৃহবধূর বাড়ি পরিদর্শন করে জবানবন্দি গ্রহণ করেন। আর আজ রবিবার আদালত আসামিদের তিন দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।

এ মামলায় গোড়পাড়া পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ খায়রুল আলমকে ঘটনার পরপরই প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। পরে বিভিন্ন পত্রিকায় ব্যাপক লেখালেখি করার কারণে শনিবার শার্শা থানার ওসি মশিউর রহমানকে প্রত্যাহার করা হয়।

ঢাকাটাইমস/০৮সেপ্টেম্বর/ইএস