রোহিঙ্গা সমাবেশে মদতদাতা এনজিও শিক্ষক আইনজীবী পুলিশ

প্রকাশ | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৩:৩৩ | আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৭:৩৭

কক্সবাজার প্রতিনিধি
ফাইল ছবি: রোহিঙ্গাদের মহাসমাবেশ

প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে গত ২৫ আগস্ট উখিয়ায় রোহিঙ্গাদের যে মহাসমাবেশ হয়েছে তার পেছনে মদতদাতাদের চিহ্নিত করে প্রতিবেদন দিয়েছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন।

ওই প্রতিবেদনে শরণার্থী ক্যাম্পের রোহিঙ্গা নেতা ছাড়াও কক্সবাজারের এনজিও, আইনজীবী, কলেজের প্রভাষক, রোহিঙ্গা রিফিউজি কমিটি-আরআরসি’র কর্মকর্তা ও পুলিশসহ একাধিক সংগঠনের কর্মকর্তাদের নাম উল্লেখ করা রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র মতে, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন স্বাক্ষরিত তদন্ত প্রতিবেদনটি সম্প্রতি এনজিও ব্যুরোতে পাঠানো হয়। প্রতিবেদনে রোহিঙ্গাদের মহাসমাবেশের মদতদাতাদের মধ্যে আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যানিটি রাইটস (এআরএসপিএইচ)-এর সভাপতি মুহিববুল্লাহ, সহ-সভাপতি মাস্টার আব্দুর রহিম, সাধারণ সম্পাদক ও উখিয়া ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক নূরুল মাসুদ ভূঁইয়া, সংগঠনের উপদেষ্টা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী দুলাল মল্লিক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. ফরিদুল আলম ও মাওলানা ইউসুফ, কক্সবাজার জেলা দায়রা জজ আদালতের পিপি মাহবুবুর রহমান, কক্সবাজার জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের পিপি মো. আব্দুর রহিম ও ক্যাম্পে নিয়োজিত পুলিশের এএসআই বোরহান উদ্দিনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে উখিয়ার কুতুপালং এক্সটেনশন-৪ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মহাসমাবেশ করে। প্রশাসন থেকে অনুমতি না নিয়ে কিছু রোহিঙ্গা নেতার সঙ্গে যোগসাজশ করে রোহিঙ্গাদের অধিকার আদায়ে গঠিত ভয়েস অব রোহিঙ্গা এবং আরআরসি পক্ষ থেকে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে ভয়েস অব রোহিঙ্গা ৭০০ সাদা হাফ টি-শার্ট ও ২৮টি ব্যানার উখিয়া উপজেলার মসজিদ মার্কেটের নিশাত প্রিন্টার্স ও মিডিয়া প্রিন্টার্স থেকে ছাপায়। আর কক্সবাজার বাজারঘাটা শাহ মজিদিয়া প্রিন্টার্স থেকে ছাপানো হয় আআরসির জন্য ১০০ হাফ টি-শার্ট। এছাড়া এআরএসপিএইচ এবং এনজিও সংস্থা ‘এডিআরএ’ ও ‘আল মারকাজুল ইসলামী সংস্থা’ নামে দুটি এনজিও সমাবেশে রোহিঙ্গাদের টি-শার্ট ও ব্যানার সরবরাহ করে।

এআরএসপিএইচ-এর উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবীসহ কক্সবাজার দায়রা জজ আদালতের একজন পিপি, দুর্নীতি দমন কমিশনের পিপি ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন গবেষক এবং ক্যাম্পে কর্মরত এক এএসআই এই মহাসমাবেশের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

(বিস্তারিত আসছে...)

ঢাকাটাইমস/০৯সেপ্টেম্বর/ডিএম