ছাত্রীকে আটকে রেখে শিক্ষকের ধর্ষণ, সহায়তাকারী গ্রেপ্তার

স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে আটকে রেখে ২০ দিন ধরে ধর্ষণ করেছেন এক গৃহশিক্ষক। খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে ধর্ষণে সহায়তাকারী আকলিমা বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে সংস্থাটি। উদ্ধার করা হয়েছে স্কুলছাত্রীকে।

সোমবার পটুয়াখালী শহরের সবুজবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার ও ধর্ষকের সহযোগী আকলিমা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে ঢাকা টাইমসকে নিশ্চিত করেছেন পটুয়াখালী র‌্যাব ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রইছ উদ্দিন।

তবে অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে গৃহশিক্ষক মাসুদ পালিয়ে যান।

রইছ উদ্দিন বলেন, গত ২০ আগস্ট সকালে স্কুলের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয় আবদুল হাই বিদ্যানিকেতনের অষ্টম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থী। পথিমধ্যে স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যায় গৃহশিক্ষক মো. মাসুদ রানা শুভ (২৬) ও তার সহযোগী আকলিমা বেগম। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও স্কুলছাত্রীকে না পেয়ে পরের দিন পটুয়াখালী সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দেন ছাত্রীর মা। সেই সঙ্গে মেয়েকে উদ্ধারে র‌্যাবের সহযোগিতা চান তিনি।

পরে স্কুল শিক্ষার্থীকে উদ্ধারে মাঠে নামে র‌্যাব। সংস্থাটির এই কর্মকর্তা বলেন, ওই ছাত্রীকে তুলে নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে আটকে রেখে ২০ দিন ধরে ধর্ষণ করছেন গৃহশিক্ষক মাসুদ রানা। ধর্ষণে সহযোগিতা করেছেন আকলিমা বেগম। সোমবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শহরের সবুজবাগের মনু ফকিরের বাড়ির ভাড়াটিয়া আকলিমা বেগমের বাসায় অভিযান চালিয়ে ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। সেই সঙ্গে আকলিমা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ধর্ষক মাসুদ রানা কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে আকলিমা বেগমকে সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়। পাশাপাশি স্কুলছাত্রীকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

ধর্ষক মাসুদকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান এই র‌্যাব কর্মকর্তা।

(ঢাকাটাইমস/০৯সেপ্টেম্বর/বিইউ/জেবি)