হাসপাতালে ডাক্তারদের অনুপস্থিতি আমাকে ব্যথিত করে: পরিকল্পনামন্ত্রী

প্রকাশ | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৬:৪৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বর্তমান সরকার ডাক্তারদের বেতন-ভাতা, সুযোগ-সুবিধা সবচেয়ে বেশি দিচ্ছে জানিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, এরপরও উপজেলায় অনেক জায়গায় যথাসময়ে ডাক্তার দেখা যায় না। এটা তাকে ব্যথিত করে বলে জানান মন্ত্রী।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছিলেন মন্ত্রী। ‘এইট জয়েন্ট মনিটরিং মিশন (জেএমএম)-২০১৯: স্টেকহোল্ডার্স মিটিং টু রিভিউ দ্য প্রোগ্রেস টুয়ার্ডস অ্যান্ড টিবি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল, উপজেলা থেকে চিকিৎসকরা যোগ দেন। উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি খাতের বিশিষ্টজন ও বিদেশিরা।   

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘কমিউনিটি ক্লিনিকেও মাঝে মাঝে যতজন থাকার কথা, যথাসময়ে আমি তাদেরকে পাই না। দোষ ধরার জায়গা থেকে নয়, একজন সহকর্মী ও বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে এসব কথা বলেছি।’

মন্ত্রী বলেন,  ‘বর্তমান সরকার বেতন-ভাতা, সুযোগ-সুবিধা সবচেয়ে বেশি দিচ্ছে। যদি এই সুযোগ-সুবিধার কথা স্বীকার করেন তবে নিজেকেই (ডাক্তার) প্রশ্ন করেন। চিকিৎসকের যে দায়িত্ব, সেটা খেলাধুলার বিষয় নয়। একদিন জমিতে চাষ না করলে সমস্যা নেই, একদিন স্কুলে না গেলে সবকিছু শেষ হয়ে যাবে না, কিন্তু একদিন রোগীকে সেবা না দিলে তার জীবন-মরণ সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। তাহলে মাঠে বসে নিজের কাজটা ঠিক মতো করুন।’

পরিকল্পনামন্ত্রী চিকিৎসকদের উদ্দেশে  বলেন, ‘আপনাদের (চিকিৎসক) ওপর যে দায়িত্ব সেটা পালন করছেন আমরা স্বীকার করি। তবে আরও ভালো করার জায়গা আছে। আমি গ্রামে বসবাস করি। প্রায় প্রতি সপ্তাহে গ্রামে যাই। কিছু বিষয় আছে, যেগুলো আমাকে মাঝে মাঝে ব্যথিত করে। আমাদের উপজেলার হাসপাতালগুলোর চমৎকার অবকাঠামো আমরা দিয়েছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো অনেক জায়গায় যতজন ডাক্তার থাকার কথা, তারা থাকেন না। শুধু ডাক্তার নয়, তার সঙ্গে যারা আছেন যেমন পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা, যারা উপজেলা থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে কাজ করছেন, যাদেরকে সবসময় জায়গায় পাওয়া যায় না।’

এ সময় হেলথ সার্ভিসের মহাসচিব অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব শেখ ইউসুফ হারুন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) গ্লোবাল টিবি কন্ট্রোল প্রোগ্রামের পরিচালক ড. থেরেজা কাসিভা, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয় যক্ষ্মা বা টিবি ছিল একটি ভয়াবহ সংক্রমক ব্যাধি। কিন্তু এখন এর সঠিক চিকিৎসা হচ্ছে। সরকার বিনামূলে এ রোগের চিকিৎসা দিচ্ছে। চিকিৎসায় যক্ষ্মা ভালো হয়। তাই কারও এ রোগ হলে তিনি যেন সরকারি হাসপাতালে যান। 

(ঢাকাটাইমস/১০সেপ্টেম্বর/জেআর/জেবি)