ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যু ‘কম’, আবার দাবি মন্ত্রী তাজুলের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৭:২৮ | প্রকাশিত : ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৭:১৭

যেসব দেশে ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ আছে, সেসব দেশের জনসংখ্যার তুলনায় বাংলাদেশে আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা কম বলে আবার দাবি করেছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

সকালে গাবতলীতে সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতার যন্ত্রপাতি পরিদর্শনে গিয়ে এ কথা বলেন মন্ত্রী।

চলতি বছর দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ আতঙ্ক ছড়িয়েছে। সরকারি হিসাবে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৭৭ হাজার ৯৮৩ জন। গণমাধ্যমের হিসাবে প্রায় ২০০ জনের মৃত্যুর তথ্য এসেছে, যদিও সরকারি হিসাবে মৃতের সংখ্যা আরো কম।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘ডেঙ্গু সংক্রমণ হয়েছে এমন দেশের মধ্যে মোট জনসংখ্যা এবং আক্রান্ত তুলনায় বাংলাদেশে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম।’

ডেঙ্গু কেবল বাংলাদেশের সমস্যা না। গোটা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়াতেই এর বিস্তার লাভ করেছে। সবচেয়ে বেশি প্রকোপ দেখা দিয়েছে ফিলিপাইনে। সেখানে সরকারি হিসাবে এক হাজারের বেশি মৃত্যৃর হিসাব রয়েছে।

সিঙ্গাপুুর, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ডের মতো উন্নত দেশগুলোও পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে এবং এসব দেশে আক্রান্তের অংকটাও বেশ বড়।

বাংলাদেশে বিশেষ করে জুলাই এবং আগস্টের প্রথম দুই সপ্তাহে ডেঙ্গুর বিস্তার আতঙ্কজনক পর্যায়ে চলে গেলেও ইদানীং তা কমে এসেছে। যদিও সেপ্টেম্বর নিয়ে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে জনগনকে সম্পৃক্ত করণে এডিসের প্রাদুর্ভাব কমেছে দাবি করে মন্ত্রী বলেন, ‘এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের জন্য সারাবিশ্বের নাগরিকদের জনসচেতনতা এবং প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব পালনকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। যারা এই দায়িত্বগুলো সঠিকভাবে পালন করতে পেরেছে, সে সমস্ত জায়গায় এডিস মশার প্রাদুর্ভাব বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে।’

‘আমাদের ঢাকা শহরে যেরকম এডিস মশা এবং ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব ছিল ইতিমধ্যে যথেষ্ট মাত্রায় কমেছে। এর পেছনে মূল কারণটা হলো, আমাদের সিটি করপোরেশন স্ব উদ্যোগে জনগণকে সম্পৃক্ত করেছে এবং এর বিরুদ্ধে কাজ করেছে। যেখানে লার্ভার জন্ম হয়েছে, সেখানে সেটিকে ধ্বংস করা হয়েছে।’

ভবিষ্যতে ডেঙ্গুবিরোধী অভিযান ঢাকার বাইরেও সমান গুরুত্ব দিয়ে চালানোর কথাও জানান মন্ত্রী। বলেন, ‘ঢাকা শহরে এর ঘনত্ব বেশি হওয়ার কারণে আমরা ঢাকাতে নিয়ে কাজ করছি। কিন্তু ঢাকা শহরের পাশাপাশি অন্যান্য উপ-শহরগুলোতেও এটা ছড়িয়ে যেতে পারে, এ বিষয়টাকে আমরা আগে থেকেই মাথায় রেখেছি।’

ডেঙ্গু ৬০ দশক থেকেই ঢাকা ফিভার নামে বাংলাদেশে ছিল। তবে ২০০২ সালে এটি ডেঙ্গু বলে শনাক্ত হয়। তবে এবারই প্রথমবারের মতো ঢাকার বাইরে ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ার তথ্য পাওয়া গেছে। এ কারণে

উপ-শহরগুলোতে ডেঙ্গু দমনে সারা বছর পরিকল্পনা করে কাজ করা হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘গ্রাম-গঞ্জে মানুষ যেখানে থাকে সেখানেও ডেঙ্গু জন্ম হতে পারেন। আমরা জনগণকে সারা বাংলাদেশের সচেতন করছি এবং এটার জন্য একটি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। এখন নভেম্বর-ডিসেম্বর নয় অথবা মার্চ-এপ্রিল নয়, সারা বছরই কাজ করা হবে।’

কারওয়ান বাজার থেকে কাঁচাবাজারকে গাবতলীতে স্থানান্তর

কারওয়ান বাজার থেকে কাঁচা বাজারকে গাবতলী বেড়িবাঁধে স্থানান্তরের বিষয়ে সরকার ভাবছে বলেও জানান মন্ত্রী। বলেন, ‘এটা করার যে পরিকল্পনা ছিল সে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য মেয়র সাহেবসহ আমাদের সবাইকে নিয়ে বসেছিলাম। আবার আমরা আগামী কিছুদিনের মধ্যে মালিক সমিতি, যে সমস্ত দোকানদাররা আছেন, তাদের সবার সাথে বসে সবার মধ্যে আলোচনা সাপেক্ষে সমস্যাটা সমাধান করতে চাই।’

ঢাকাটাইমস/১১সেপ্টেম্বর/কারই/ডব্লিউবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :