রোহিঙ্গারা আগে ফিরে যাক, পরে ঘরবাড়ি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৮:৫৭ | প্রকাশিত : ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৭:৫২

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য মিয়ানমারে ঘরবাড়ি বানানোর আগে তাদের ফিরিয়ে নিতে দেশটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।

বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে একটি অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকারে মন্ত্রী এই মন্তব্য করেন। এর আগে পিকেএসএফ ভবনে ‘টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট-৩: সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ’ বিষয়ক সেমিনারে যোগ দেন মন্ত্রী।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে গিয়ে কোথায় থাকবে এই বিষয়টি বাংলাদেশের দেখার বিষয় নয়, সেটা মিয়ানমারই বুঝবে। তবে বাংলাদেশ আশা করে রোহিঙ্গারা দ্রুত ফিরবে।’

এ সময় মোমেন ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের শরণার্থী হওয়া এবং দেশে ফেরার প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, ‘আমরা যখন ভারত থেকে দেশে ফিরি তখন চিন্তা করিনি আমাদের ঘরবাড়ি আছে কী নাই। আমরা কিন্তু ফেরত এসেছি। তাছাড়া রোহিঙ্গারা যখন বাংলাদেশে আসে তখন কিন্তু ঘরবাড়ির চিন্তা করেনি। যখন তাদের যাওয়া শুরু হবে গিয়ে ঠিকই ঘরবাড়ি তৈরি করবে। না গেলে কীভাবে ঘরবাড়ি তৈরি করবে?’

রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে ‘প্রস্তুত’ বলে মিয়ানমার দাবি করে এলেও বাস্তবে রাখাইনের রোহিঙ্গা গ্রামগুলো গুঁড়িয়ে দিয়ে সেখানে পুলিশ ব্যারাক ও বিভিন্ন সরকারি স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে বলে উঠে এসেছে বিবিসির এক প্রতিবেদনে।

এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু জানতাম না, আপনাদের কাছ থেকে শুনলাম।’

মিয়ানমার সরকারের ব্যবস্থাপনায় কয়েক দিন আগে বিদেশি সাংবাদিকদের একটি দলকে উত্তর রাখাইনের কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখার সুযোগ দেওয়া হয়। তাদের মধ্যে ছিলেন বিবিসির দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া প্রতিবেদক জোনাথন হেড।

তিনি সেখানে অন্তত চারটি জায়গায় নতুন গড়ে তোলা নিরাপত্তা স্থাপনা দেখেছেন, যেসব জায়গায় এক সময় রোহিঙ্গাদের গ্রাম থাকার প্রমাণ পাওয়া যায় স্যাটেলাইট ইমেজে। তবে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ রোহিঙ্গা গ্রামের জায়গায় স্থাপনা নির্মাণের বিষয়টি অস্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের যে রাখাইন থেকে বিতাড়িত করা হয় সেখানে কাউকে প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছিল না মিয়ানমার। ঢাকায় নিযুক্ত বিদেশি কয়েকজন রাষ্ট্রদূতকে রাখাইনে নিয়ে সেখানকার পরিবেশ দেখাতে চায় মিয়ানমার। সে প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমার কিছুদিন আগেও রাখাইনে কাউকে নিতে রাজি ছিল না। সম্প্রতি সেখানে কয়েকজন রাষ্ট্রদূতসহ আরও কয়েকজনকে তারা রাখাইনে নিতে সম্মতি জানিয়েছে। রাষ্ট্রদূতরা সেখনে যাবেন। পরিস্থিতি দেখবেন।’

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ভাসানচরে স্থানান্তর করা হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, ‘ভাসানচরে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্থানান্তরের বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এ বিষয়ে আমরা চিন্তাভাবনা করছি।’

(ঢাকাটাইমস/১১সেপ্টেম্বর/এনআই/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :