সরকারি হাসপাতাল থেকে রোগী ভাগিয়ে র‌্যাবের হাতে ধরা

প্রকাশ | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৮:৫৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

সরকারি হাসপাতালে দালালের উৎপাতের কথা সবার জানা। এবার সরকারি হাসপাতাল থেকে রোগী ভাগিয়ে নিতে গিয়ে র‌্যাবের হাতে ধরা পড়েছেন দালার চক্রের এক সদস্য।

বুধবার রাজধানীর সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল থেকে রোগীদের ভাগিয়ে নিচ্ছিল একটি চক্র। রোগীদের রক্ত ও ইউরিনের টেস্টও করানো হয়। যাতে নেয়া হয় স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েকগুণ বাড়তি টাকা। র‌্যাবে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারে ক্লিনিকের মালিককে জরিমানা গুণতে হয়েছে পাঁচ লাখ টাকা। দালালকে দেয়া হয়েছে এক বছরের কারাদণ্ড। আর টেস্টের নামে নেয়া টাকা ফেরত পেয়েছেন প্রতারিত আটজন রোগী।

অভিযানটি পরিচালনা করেন র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গাউসুল আযম।

নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দালালের ছবিসহ একটি পোস্টে গাউসুল আযম বলেন, সকাল ৮টা ৩০ মিনিট। সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে বহির্বিভাগে টিকিট কেটে ডাক্তারের কক্ষে ঢোকার অপেক্ষায় ছিলেন রোগীরা। আজ ডাক্তার সাহেব আসবেন বিকালে। চলেন পার্শ্ববর্তী একটি ক্লিনিকে এখন এই হাসপাতালের ডাক্তার সাহেবকে পাবেন। তিনি ওখানে রোগী দেখছেন। কম মূল্যে পরীক্ষা করার ব্যবস্থাও আছে।’এরকম নানা কথায় রোগীদের ভুল বুঝিয়ে নিউ মেডিকম মেডিকেলে নিয়ে যায় দালালরা।

র‌্যাব কর্মকর্তা লিখেন, আজ ক্লিনিকটিতে উপস্থিত ১০/১২ জন রোগী এবং তাদের স্বজনদের সাথে কথা বলি। তারা জানায়, সকাল থেকে শুধু ব্লাড ও ইউরিন টেস্ট করানো হয়। এজন্য প্রত্যেকের কাছ থেকে ছয় হাজার, পাঁচ হাজার, তিন হাজারসহ বিভিন্ন অংকের টাকা নেয়া হয়।

গাউসুল আযম বলেন, উপস্থিত প্রতারিত রোগীদের টাকা ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা করি এবং রোগীদের সরকারি হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।

ঢাকা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ডা. মামুন এবং র‌্যাব-২ এর সহযোগিতায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে দোষ স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে আটক দালাল রফিকুল ইসলাম বাবুকে এক বছরে  দেয়া হয় এবং ক্লিনিকের মালিক শাহজালাল শিকদারকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

ঢাকাটাইমসকে তিনি বলেন, ওইসময় ক্লিনিকটিতে থাকা আটজন রোগীকে তাদের কাছ থেকে নেয়া টাকা ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১১সেপ্টেম্বর/বিইউ/জেবি)