টাঙ্গুয়ার হাওরে জোৎস্না বিলাস ১২-১৫ সেপ্টেম্বর

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৯:০০

বর্ষায় ভরা পূর্ণিমায় অথৈই জলে রূপালি ঢেউ, ছোটবড় নাও, জল জ্যোৎস্নায় অবগাহনে ডাকছে টাঙ্গুয়ার হাওর।

জলরাশির মধ্যে নিজেকে হারিয়ে ফেলে সূর্য ডোবার পর মাথার ওপরে দেখা যাবে তারা খচিত নীল আকাশ। মোহময় সৌন্দর্য্যে মুগ্ধ করে তোলে আশপাশের পরিবেশ-প্রকৃতিও।

টাঙ্গুয়ার হাওরে ভরা জোৎস্নায় প্রকৃতিকে উপভোগের সবচেয়ে উপযুক্ত সময় ১২থেকে ১৫সেপ্টেম্বর। এ সময় পূর্ণ ফসল চাঁদ হাওরে জ্যোৎস্না স্নান নিয়ে আসে পর্যটক ও ভ্রমণ পিপাসুদের মনে স্বর্গীয় অনুভূতি। তাই টাংগুয়ার হাওরে পর্যটকদের মিলন মেলায় পরিণত হয়।

টাংগুয়ার হাওর বাংলাদেশের দ্বিতীয় রামসার সাইট। এ হাওরের আরেক নাম নয় কুড়ি কান্দার ছয় কুড়ি বিল। হাওর বিশাল উন্মুক্ত মিঠাপানির জলাশয়ের আয়তন প্রায় ১০০বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে প্রতি বর্ষা মৌসুমে হাওরে ঢল নামে। আর হাওর-জল-জ্যোৎস্না অবগাহেন ডাকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সৌন্দর্য পিপাসু আর পর্যটন প্রিয় হাজার হাজার মানুষকে।

পর্যটকদের আগমন চলতি মাসের ১২থেকে ১৫সেপ্টেম্বর কয়েক গুণ বেড়ে যাবে বলে জানান স্থানীয় এলাকাবাসী।

গত কয়েক বছর পূর্বে টাংগুয়ার হাওরকে আকর্ষণীয়ভাবে সবার সামনে তুলে ধরেন জোছনা উৎসব করে তাহিরপুর উপজেলার সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল।

তিনি জানান, আগামী শনিবার (১৪সেপ্টেম্বর) আশা করি সবাইকে নিয়ে এই আনন্দ উৎসবটি করতে প্রশাসনসহ সবাই সহযোগিতা করবে। রুপালি চাঁদের অবারিত জ্যোৎস্না কাঁচের মত স্বচ্ছ জলে মরীচিকার সৃষ্টি হবে।

তবে এবার টাংগুয়ার হাওরে জ্যোৎস্না উৎসব না করে মাটিয়ার হাওরে উৎসব করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। থাকবে বাউল গানসহ কিছু আয়োজন। বিশাল জলরাশি হাওরের বুকে নৌকায় রাত্রি যাপন করে জোছনা উপভোগে পর্যটকদের আগমন বেড়ে যাবে।

তিনি আরো বলেন, বিকালে সীমাহীন আকাশ থেকে চোখ চলে যাবে দিগন্তের কাছাকাছি। সেখানে হাওরের বুকে হিজল আর করচের সারি মাঝে সূর্যস্তাতের মনোরম দৃশ্য। তার পেছনে উঠবে রুপালি চাঁদ। এ এক ভিন্ন রকম পরিবেশ।

নৌকার মাঝি জুয়েল মিয়া বলেন, জোছনা দেখতে পর্যটক টাংগুয়ার হাওরে নৌকায় রাত্রি যাপন করবেন। আগত পর্যটকদের কাছ থেকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্ধারিত নৌকার ভাড়াই নেয়া হবে। সবার সাথে আমরাই উপভোগ করব এই পূর্ণিমা।

পূর্ণিমাতে পর্যটকদের নিরাপত্তা জোরদারের ব্যবস্থা নিয়েছে তাহিরপুর থানার ও সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ।

তাদের সমন্বয়ে বিশেষ ২টি টিম গঠন করা হয়েছে বলে জানান তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আতিকুর রহমান।

তিনি বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তা দেয়ার জন্য তারা সার্বক্ষণিক কঠোর নজরদারি ও যে কোন পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা ব্যাবস্থা গ্রহণ করবে। পাশাপাশি পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য নৌকার মাঝিরাও সতর্ক অবস্থানে থাকবেন।

ঢাকা থেকে যেভাবে যাবেন:

ঢাকা থেকে শ্যমালি, হানিফ বা এনার বাসে সরাসরি সুনামগঞ্জ ৫৫০টাকা ভাড়া। সুনামগঞ্জ থেকে লেগুনা, সিএনজি অথবা মোটরসাইকেলে জনপ্রতি ১০০টাকা তাহিরপুর। যানবাহন থেকে নেমেই একটু পায়ে হাঁটা দূরত্বে পেয়ে যাবেন নৌকা। দরদাম করে ঠিক করে নিতে পারেন ৫থেকে ১২হাজার টাকার ভেতরে। বড় নৌকায় ২০ জন চড়া যাবে। এছাড়া ছোট নৌকায় ভাড়া নেয়া যায় আড়াই থেকে তিন হাজার টাকায়। চাইলে কেউ স্পিডবোডও ভাড়া করতে পারেন। এরপর রাত বারোটা পর্যন্ত থেকে ফিরে আসতে পারেন কটেজে। কিংবা রাত্রিযাপন করতে পারবেন নৌকাতেই।

ঢাকাটাইমস/১১সেপ্টেম্বর/ইএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :