নদীদূষণে ১৬ কারখানার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন

প্রকাশ | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৯:৪৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

নদীতে তরল বর্জ্য ফেলার দায়ে ১৬টি কারখানার বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। পরিবেশের ক্ষতি করায় এসব কারখানার বিরুদ্ধে পরবর্তী সময়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

বুধবার বুড়িগঙ্গা নদীর শ্যামপুর-কদমতলী এলাকায় ডিপিডিসির সহযোগিতায় পরিচালিত এক অভিযানে এই ব্যবস্থা নেয়া হয়।

পরিবেশ অধিদপ্তর সদরদপ্তরের মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট বিভাগের পরিচালক রুবিনা ফেরদৌসীর নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়।

এসময় শ্যামপুর-কদমতলী এলাকায় পরিবেশগত ছাড়পত্র গ্রহণ ছাড়া এবং তরল বর্জ্য পরিশোধনাগার (ইটিপি) ছাড়া ১৩টি কারখানাসহ পরিবেশগত ছাড়পত্রবিহীন মোট ১৬টি কারখানা শনাক্ত করা হয়।

কুমিল্লা ডায়িং, এলিট টেক্সটাইল, চাঁদপুর টেক্সটাইল, মিতা ডায়িং, শারমিন ডায়িং, ভরসা ডায়িং, শাপলা স্ক্রিন অ্যান্ড ডায়িং প্রিন্টার্স লি, শাহজাদী ডায়িং অ্যান্ড প্রিন্টিং, মেসার্স অভিজাত ডায়িং অ্যান্ড প্রিন্টিং, লামিয়া টেক্সটাইল ডায়িং অ্যান্ড প্রিন্টিং, হিমু ডায়িং, সুচনা ডায়িং, নুরানী ডায়িং, লাকী কেইন ইন্ডাস্ট্রিজ, এইচ আলী স্টিল মিলস ও মদিনা রি-রোলিং মিলস নামের এই কারখানাগুলো আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীদূষণ করে আসছিল।

পরিবেশগত ক্ষতিসাধনের দায়ে পরবর্তী সময়ে আদালতের নির্দেশনা ও বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০) অনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১১সেপ্টেম্বর/কারই/জেবি)