প্রযুক্তি দেবে জাপান, ২০২০ এ ফের চাঁদে যাবে ভারতীয় যান

প্রকাশ | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১২:১৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস

সম্প্রতি চাঁদে পাঠানো ভারতীয় চন্দ্রযান-টু এর অভিযান একেবারে শেষ মুহূর্তে গিয়ে ভেস্তে গিয়েছে। কিন্তু সামনে যেন চাঁদের মাটিতে ল্যান্ডিংয়ে কোনো সমস্যা না হয় তার জন্য ভারতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে জাপান।

এর আগে অরবিটার পাঠালেও চাঁদে এখনও যান নামায়নি জাপান। আগামী বছর চাঁদে প্রথম বার ল্যান্ডার নামানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। ল্যান্ডারটির নাম ‘স্মার্ট ল্যান্ডার ফর ইনভেস্টিগেটিং মুন’ বা সংক্ষেপে ‘স্লিম’।

ভারতের চন্দ্রযান-টুয়ের ল্যান্ডার বিক্রম নীচে নামতে নামতে চাঁদের ছবি তুলে নামার উপযুক্ত স্থল ঠিক করে নিয়ে পালকের মতো নামবে, এমনটাই ঠিক ছিল। কিন্তু ২.১ কিলোমিটার উপরে থাকতে তার সঙ্গে ইসরোর যোগাযোগ ছিন্ন হয়ে যায়। জাপানের স্লিম ল্যান্ডারও চাঁদের ছবি তুলতে তুলতে নামবে। তবে হালফিলের মোবাইল ক্যামেরাতেও যেমন মুখের অবয়ব চেনার (ফেস রেকগনিশন) ব্যবস্থা থাকে, স্লিমে থাকবে তার উন্নততর সংস্করণ। এতে চন্দ্রপৃষ্ঠের উঁচু-নীচু বা সমতল অংশ অনেক ভালোভাবে বুঝে নিতে পারবে ল্যান্ডার এবং ঠিকঠাক নামতে তা সাহায্য করবে। স্লিমের ওই অবতরণ প্রযুক্তি এবার ভারতের সঙ্গে ভাগ করে নেবে জাপান।

নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত কেনজি হিরামাৎসু জানিয়েছেন, ‘চন্দ্র অভিযানের প্রশ্নে ভারত যে ভবিষ্যতে তার অবদান রেখে যাবে, সে ব্যাপারে আমরা আত্মবিশ্বাসী। সঙ্গে জাপানের গর্বিত উপস্থিতিও থাকবে।’

দূতাবাস সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, আগামী বছরই জাপান এয়ারস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সির (জাক্সা)সঙ্গে যৌথভাবে চন্দ্রাভিযানের পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে ইসরো। এটি অবশ্য কোনো নতুন উদ্যোগ নয়। ২০১৬ সালের নভেম্বরে ভারত ও জাপানের মধ্যে চন্দ্রাভিযান নিয়ে চুক্তি হয়েছিল। ২০১৭ সালে তা রূপায়ণের ব্যবস্থাপনা চূড়ান্ত হয়। ২০১৮ সালে যৌথ অভিযানের বিষয়টি পর্যালোচনা করা হয়।

জাক্সার দাবি, ‘স্লিম’ এর অবতরণ প্রযুক্তি বিশ্বে প্রথম, যা নিখুঁতভাবে চাঁদের মাটিতে নামার বিষয়টি নিশ্চিত করতে সক্ষম। এছাড়াও ভারতকে তাদের ‘নেভিগেশন গাইডেন্স সেন্সর’ এবং ‘গাইডেন্স অ্যালগারিদম’ প্রযুক্তিও দেবে জাপান। এগুলি চাঁদের দক্ষিণ মেরু এলাকায়, যেখানে সূর্যের আলো পৌঁছয় না, সেখানেও নিখুঁত সফ্‌ট ল্যান্ডিং সম্ভব করে তুলবে।

গত শুক্রবার রাতে বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন হওয়ার পরে তথ্য বিশ্লেষণ করে ইসরোর বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, অবতরণ ঠিক মতো হয়নি। এখনও পর্যন্ত বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন নি তারা।

ঢাকা টাইমস/১২সেপ্টেম্বর/একে