‘তুই’ বলায় হত্যা
সিনিয়র গ্যাং গ্রুপের সদস্যকে ‘তুই’ বলে সম্বোধন করায় খুন হন কিশোর নুরুল ইসলাম নুরু। বুধবার সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে জিজ্ঞাসাবাদে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে তারা নুরুকে হত্যার তথ্য জানায়।
র্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল সারওয়ার-বিন-কাশেম ঢাকাটাইমসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন- রাসেল মিয়া, আশরাফুল ইসলাম, জোবায়ের, আমির হামজা, সুজন পাটোয়ারি ও সৌরভ।
৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে গাজীপুরের রাজদীঘির পাড় এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জেরে দুই দল কিশোর গ্যাং গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় ছুরিকাঘাতে কিশোর নুরু মারা যায়।
নুরু তিন ভাই-বোনের মধ্যে সবার বড় ছিল। তারা বাবা ফকির আলী পেশায় পাখি বিক্রেতা ও মাতা গৃহিনী। অভাবের কারণে লেখাপড়া বন্ধ হয়ে গেলে নুরু চা বিক্রি করতো। র্যাব জানায়, নুরু ‘ভাই-ব্রাদারস’ গ্রুপের এক সদস্যকে তুই বলে সম্বোধন করে। এতে ওই গ্রুপের সদস্যরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।
হত্যার ঘটনার দিন ১০/১২ জন ধারালো অস্ত্র নিয়ে ‘দীঘিরপাড়’ গ্রুপের ওপর চড়াও হয়। প্রাণ বাঁচাতে নুরু পুকুরে ঝাঁপ দেয়। পরে ‘ভাই-ব্রাদারস’ গ্রুপের সদস্যরা পুকুর থেকে তুলে ধারালো চাপাতি দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে নুরুকে হত্যা করে। হত্যার সঙ্গে জড়িতদের বেশিরভাগ স্কুল পড়ুয়া। তাদের কয়েকজন পড়াশোনা বন্ধ করে দিয়েছে।
র্যাব কর্মকর্তা সারওয়ার জানান, একই এলাকার হওয়ায় এসব কিশোর গ্যাং গঠিত করে। আধিপত্য বিস্তার করতে গিয়ে তারা চুরি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। আধিপত্য টিকিয়ে রাখা এবং ভয়ভীতি দেখাতে অনেক সময় এসব গ্যাং সদস্যরা ছোটখাটো দ্বন্দ্বে লেগে থাকত।
গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত তিনটি চাপাতি ও তিনটি চাকু, পাঁচটি মোবাইল ফোন ও নগদ আট হাজার টাকা জব্দ করা হয়েছে।
ঢাকাটাইমস/১২সেপ্টেম্বর/এসএস/এমআর