আদালতের নির্দেশে আটকে গেল ছাত্রদলের কাউন্সিল

প্রকাশ | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ২১:০৯ | আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ২১:১৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ছাত্রদলের কাউন্সিল প্রস্তুত কমিটির নেতারা

সব প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে থাকলেও হঠাৎ করেই ছাত্রদলের শনিবারের কাউন্সিলের ওপর অস্থায়ী স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত। এ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কাউন্সিল পরিচালনার দায়িত্বে থাকা নেতারা। বিষয়টি কতটা সঠিক তা নিয়েও সংশয়ে আছেন তারা। যে কারণে স্থগিতাদেশের খবরে কান না দিয়ে বাকি কাজ শেষ করে কাউন্সিলের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। তারা বলছেন, আদেশ দেখে আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেবেন।

পূর্ব নির্ধারিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বৃহস্পতিবার ছাত্রদলের কাউন্সিলদের মাঝে কার্ড বিতরণসহ নির্বাচনের জন্য অন্যান্য কাজ করছিলেন সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির নেতারা।

এরইমধ্যে খবর আসে ঢাকা জজকোর্টের ৪ নম্বর সহকারী জজ আদালতের বিচারক নুসরাত জাহান বিথি আদালত ছাত্রদলের ৬ষ্ঠ কাউন্সিলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। ছাত্রদলের সাবেক ধর্মবিষয়ক সহ-সম্পাদক আমানউল্লাহর আবেদনের প্রেক্ষিতে এ আদেশ বলে জানা গেছে।

ঢাকা জজকোর্টের নাজির তরিকুল ইসলাম বিষয়টি ঢাকাটাইমসকে নিশ্চিত করেছেন। ইতিমধ্যে আদালতের আদেশের কপি ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এই মামলায় বিবাদী করা হয়েছে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ১০জনকে। আদালতে এই নির্বাচন কেন বাতিল করা হবে না এই মর্মে সাতদিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে ছাত্রদলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা পুরোপুরি নিশ্চিত নই। আদালতের স্থগিতাদেশ থাকলে কাউন্সিল স্থগিত হবে। আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর ছাত্রদলের ৬ষ্ঠ কাউন্সিল হওয়ার কথা। এতে সভাপতি পদে ৯ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ১৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন।

আর নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা আরেক নেতা ফজলুল হক মিলন ঢাকাটাইমসকে বলেন, আমরা এখনো আদালতের স্থগিতাদেশ দেয়ার নির্দেশনার কপি পাইনি। হাতে পাওয়ার পর এ নিয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলবো। পরে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

এদিকে ছাত্রদলের একজন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা টাইমসকে বলেন, সংগঠনের একটি পক্ষ হয়ত নিজেদের ভরাডুবির কথা চিন্তা করে একজনকে দিয়ে মামলা ঠুকে দিয়েছে। এখন পুরো বিষয়টা একটা ধোঁয়াশার মধ্যে পড়ে গেছে। জানি না শেষ পর্যন্ত কাউন্সিল হবে কি না।’

ঢাকাটাইমস/১২সেপ্টেম্বর/বিইউ/ইএস