স্বল্প পুঁজিতে বিশাল কোম্পানি বানাবেন যেভাবে

প্রকাশ | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৯:১৭ | আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৯:২৬

ঢাকাটাইমস ডেস্ক

ধনী হতে কে না চায় বলুন? সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে সবাই ধনী হওয়ার প্রবল ইচ্ছাশক্তি পুষে রাখেন। পৃথিবীতে টিকে থাকতে হলে অর্থের বড় প্রয়োজন। আর এই স্বপ্নপূরণের জন্য ব্যবসা মূল হাতিয়ার। অনেকেই নিজের ভিতরে একটি ভুল ধারনা পোষণ করেন যে ‘ধনী হতে হলে বড় বড় ব্যবসা করাই প্রয়োজন। এজন্য অনেক টাকা প্রয়োজন। অল্প পুঁজিতে বড় কিছু করা যায় না।’ কিন্তু তাদের ধারণাটা ভুল।

অল্প পুঁজিতে ছোট ব্যবসা করেও ধীরে ধীরে কোটি কোটি টাকার মালিক হওয়া যায়। মনে রাখবেন ‘তিল থেকেই তাল হয়’। তাই প্রথমে ছোট কিন্তু লাভজনক এসব ব্যবসায় হাত দিতে হবে, তাহলেই বেলাশেষে সাফল্য সম্ভব। এজন্য প্রয়োজন প্রবল ইচ্ছাশক্তি আর পরিশ্রম।

বিশ্বের এমন অনেক ব্যক্তি আছেন যারা অল্প পুঁজিকে কাজে লাগিয়ে বিশাল কোম্পানির মালিক বনেছেন। তাদেরই একজন পিটার থেইল। বিখ্যাত অনলাইন আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান PayPal এর পাঁচ প্রতিষ্ঠাতার অন্যতম একজন তিনি।

আয়নম্যান খ্যাত ইলন মাস্ক এবং আরও তিনজনের সঙ্গে মিলে ১৯৯৮ সালে পিটার থেইল প্রতিষ্ঠা করেন পে-পাল। অনেকটাই শূন্য অবস্থা থেকে PayPal কে একটি মাল্টি বিলিয়ন ডলার কোম্পানিতে পরিণত করেন তারা। যারা অল্প পুঁজি খাটিয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক হতে চান তাদের জন্য পিটার থেইল ও তার বন্ধুরা তাদের জন্য হতে পারেন অনুপ্রেরণা। আসুন জেনে নেই পিটার থেইলদের সাফল্যের গল্প, যেটি জানলে অল্প পুঁজি বিনিয়োগ করে আপনিও হতে পারেন বিশাল একটি কোম্পানির মালিক।

সাফল্যের ফর্মূলা বিশ্বের সব উদ্যোক্তার হাতের নাগালে পৌঁছে দেওয়ায় পিটারদের ফর্মূলার নাম দেয়া হয় “জিরো টু ওয়ান”। কীভাবে তাদের এই ফর্মূলা আমাদের কাছে এসেছে তার একটি মজার গল্প আছে।

কয়েক বছর আগে পিটার আমেরিকার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবসা বিষয়ক একটি লেকচার দিয়েছিলেন। লেকচারে তিনি একটি নতুন ব্যবসা শুরু করে তাকে বিলিয়ন ডলার কোম্পানিতে পরিণত করার কয়েকটি নীতির কথা বলেছিলেন। এই নীতি বা principles গুলো ব্লেক মাস্টার্স নামের এক ছাত্র সেখানে বসেই খাতায় বিস্তারিত ভাবে নোট করে নেন।

সেই নোট ফলো করে লোকজন এতটাই সাফল্য পেল যে তার সুনাম চারিদিকে ছড়িয়ে পড়তে লাগল। এই খবর জানার পর পিটার ব্লেক মাস্টার্সের সঙ্গে মিলে সেই নোটটিকে আরও সমৃদ্ধ করে ‘জিরো টু ওয়ান’ নামে একটি বই বের করেন। তার উদ্দেশ্য ছিল, তার জ্ঞান থেকে যেন সারা পৃথিবীর মানুষ উপকার পায়। যেহেতু আপনি এই লেখাটি পড়ছেন, সেহেতু আপনিও সেই মানুষদের একজন হতে চলেছেন।

– তাহলে চলুন শুরু করা যাক।

নীতি ০১: থেকে এ যান

মানুষ যখন চলাচলের জন্য ঘোড়া ব্যবহার করত, তখন যদি আপনি মানুষকে প্রচলিত ঘোড়ার চেয়ে আরও ভালো জাতের তেজী ঘোড়া এনে দিতেন, বা ঘোড়ার গাড়ির ব্যবসা করতেন, তাহলে সেটি হত ১ থেকে N (N হচ্ছে একটি ধরে নেয়া মান, যা ১ এর আওতাতেই থাকে। সোজা কথায়, ইউনিক কিছু নয়)

কিন্তু আপনি যদি সেই সময়ে মানুষকে একদম নতুন কোনও বাহন এনে দিতেন (ধরুন আপনি গাড়ি আবিষ্কার করলেন)- তাহলে সেই উন্নতিকে বলা হবে ০ থেকে ১ এ যাওয়া- অর্থা‌ৎ জিরো টু ওয়ান। আপনি যদি অনন্য সাফল্য পেতে চান, তাহলে অবশ্যই ০ থেকে ১ এ যেতে হবে, যাকে বলা হয় “Vertical Progress” – আপনাকে এমন কিছু করতে হবে যা আগে কেউ করেনি।

কিন্তু এর বদলে যদি আগে‌ থেকেই আছে, এমন কিছুতে নতুন পরিবর্তন এনে ব্যবসা চালিয়ে যান, তাহলে সেই সাফল্য কখনওই অনন্য হবে না। এই ধরনের ব্যবসা করে আপনি হয়তো কিছু সাফল্য পাবেন, কিন্তু সেটা কখনওই গুগল, অ্যাপল বা মাইক্রোসফট এর মত কিছু হবে না। আর এই প্রক্রিয়া, যাকে বলা হয় “Horizontal Progress” – এতে আপনার সফল হওয়ার সম্ভাবনাও কমে যায়।

বিজনেস ওয়ার্ল্ড এর বড় বড় মনে রাখার মত ঘটনাগুলো একবারই ঘটে। পৃথিবীর বুকে পরবর্তী যে বিল গেটস আসবে, সে অপারেটিং সিস্টেম বানাবে না; পরবর্তী জুকারবার্গ সোস্যাল মিডিয়া বানাবে না; পরের ল্যারি পেজ গুগলের মত কোনও সার্চ ইঞ্জিন বানাবে না, পরের স্টিভ জবস পৃথিবীর প্রথম বাটন বিহীন স্মার্টফোন বানাবেন না। তিনি হয়তো এমন স্মার্টফোন ডিজাইন করবেন, যেটা হাতে ধরে রাখারও প্রয়োজন হয় না।

অর্থা‌ৎ এখানে বোঝাতে চাচ্ছি , যারা পরবর্তী প্রজন্মের বিজনেস ওয়ার্ল্ডকে নেতৃত্ব দেবে, তারা নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবে। যদি কেউ গুগলের চেয়েও ভালো কোনও সার্চ ইঞ্জিন নিয়ে আসে, সে ল্যারি পেজ এর আজকের সাফল্য আর খ্যাতির ধারে কাছে ভিড়তে পারবে না।

আপনি নিশ্চই ডিজিটাল ক্রিপ্টো কারেন্সি ‘বিটকয়েন’ এর নাম শুনেছেন। একটি বিটকয়েনের বর্তমান বাজার মূল্য ৬ হাজার ডলারের বেশি। কিন্তু অনেক নতুন কয়েন অনেক বেশি উন্নত প্রযুক্তি আর সুবিধা নিয়েও বিটকয়েনের দামের ধারে কাছে যেতে পারছে না। এর একমাত্র কারণ, বিটকয়েন বাজারে প্রথম এসেছে।

জিরো টু ওয়ান বইয়ের পরামর্শ যদি কেউ সফলদের কপি করে, বা তাদের আইডিয়াকে আরও একটু উন্নত করে সাফল্য পেতে চায়, তাহলে হয়তো কিছুটা সফল হবে, কিন্তু তা কখনওই এইসব লিজেন্ডদের পর্যায়ের হবে না। এরা সবাই ইতোমধ্যেই ০ থেকে ১ এ গিয়েছেন। অর্থা‌ৎ তারা ইতোমধ্যেই ‘১’ বানিয়ে রেখেছেন, এখন ১ থেকে যদি কেউ শুরু করে তাহলে তারা ‘N’ এর বেশি কিছু করতে পারবে না। তাই নতুন কিছু করার চেষ্টা করুন- এতে সাফল্যের সম্ভাবনা অনেক বেশি। কিন্তু একটি ব্যাপার মনে রাখবেন, আপনি যা-ই করুন না কেন, তা যেন মানুষের কাজে লাগে।

নীতি ০২: প্রতিযোগিতা এড়িয়ে চলুন

জিরো টু ওয়ান বইয়ে পিটার বলেন, ব্যবসার ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা আসলে বিষের মত কাজ করে। তার মতে capitalism এবং competition একে অপরের বিপরীত। প্রথমটি আপনাকে ব্যবসায় লাভ করতে সাহায্য করবে, দ্বিতীয়টি আপনার ব্যবসার ক্ষতি করবে। বাজারে আপনার পণ্য বা সেবার ক্ষেত্রে যত বেশি প্রতিযোগিতা থাকবে, আপনার আয় ততই কম হবে। ছোট বড় সব ব্যবসারই এই অবস্থা।

উদাহরণ হিসেবে ধরা যাক দু’টি ভিন্ন ধরনের ব্যবসার কথা: এয়ারলাইন এবং সার্চ ইঞ্জিন। আমরা সবাই জানি এয়ারলাইনগুলো প্রতি বছর প্রচুর অর্থ আয় করে । কিন্তু ২০১২ সালের এক গবেষণায় দেখা যায়, এয়ারলাইনগুলো মোট ১৬০ বিলিয়ন ডলারের লাভ করলেও যাত্রী প্রতি তাদের আয় ছিল ০.৩৭ মার্কিন ডলার।

অন্যদিকে গুগল সেই বছর ৫০ বিলিয়ন লাভ করেছিল। খোলা চোখে গুগলের লাভের অংক এয়ারলাইনের তিন ভাগের একভাগ। তবে মনে রাখতে হবে, গুগল একক কোম্পানি হিসেবে এই টাকা আয় করেছে। সব এয়ারলাইন মিলে যাত্রীপ্রতি যে আয় করেছে, তার বিপরীতে গুগলের গ্রাহকপ্রতি লাভ ছিল ১০০ গুণ বেশি!

এর কারণ এয়ারলাইনগুলো একে অন্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে নিজেদের টিকিটের মূল্য প্রায়ই কমিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছিল। অন্যদিকে গুগল ছিল একাই একশ।

এখনও আমেরিকার সবগুলো এয়ারলাইনের মিলিত লাভের চেয়ে গুগলের লাভ তিনগুণ বেশি।

মাইক্রোসফট এর কথা যদি আসে, তাহলে বলতে হয় তারাই কিন্তু প্রথম চিত্রভিত্তিক বা ভেজুয়্যাল অপারেটিং সিস্টেম বাজারে এনেছে। এই যে আমরা মাউস দিয়ে আইকন ও বাটনের ওপর ক্লিক করে কাজ করি, এটা উইন্ডোজের আগে কল্পনাও করা যেত না।

যদি একটি প্রতিযোগিতাহীন বাজারে নিজের নতুন পণ্য নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন, তো প্রথম কিছুদিন আপনি এমনিতেই সেই বাজারে সেরা থাকবেন। প্রতিযোগিরা যতদিনে বাজারে নামবে, ততদিনে আপনি অনেক দূর এগিয়ে যাবেন, এবং মানুষের কাছে আপনার এমন একটি গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হয়ে যাবে। আপনার পর্যায়ে যেতে প্রতিযোগিদের অনেক সময় ও অর্থ খরচ হবে।

নীতি ০৩: একটি নির্দিষ্ট ক্রেতাশ্রেণিকে টার্গেট করুন

আপনি হয়তো অনেকবারই এই কথাটি শুনেছেন ‘একবারে খেতে চাইলে কিছুই খাওয়া যায় না’। কথাটা শুনতে শুনতে গুরুত্বহীন হয়ে গেলেও কথাটা কিন্তু শতভাগ সত্যি।

Amazon.com এমন একটি ওয়েবসাইট যেখানে পৃথিবীর প্রায় সব ধরনের পণ্য কিনতে পাওয়া যায়। বর্তমানে অন্য অনেকগুলো কোম্পানি এই সেবা দিচ্ছে, এবং জ্যাক মার Alibaba.com এর মত কিছু কিছু কোম্পানি অনেক ভালোও করছে। কিন্তু ২ নং নীতি অনুসারে আমাজন সবার প্রথমে এই ব্যবসা শুরু করায় এখনও তাকে কেউ ছাড়িয়ে যেতে পারেনি। এই আমাজনের উদ্যোক্তা জেফ বেজোস কিন্তু বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি।

বর্তমানে আমাজনে প্রায় সবকিছুই পাওয়া যায়। তবে প্রথমে আমাজন একদম ছোট একটি consumer group বা ক্রেতা শ্রেণীকে টার্গেট করে ব্যবসায় নেমেছিল। সেই মার্কেট ছিল বইয়ের মার্কেট, এবং টার্গেট বায়ার ছিল বই পড়া মানুষ।

আমাজন আসার আগে বই শুধু বইয়ের দোকানেই পাওয়া যেত। যার কারণে পাঠকদের বই খুঁজে পেতে বেশ ঝামেলা হত। সব বইতো আর সব দোকানে পাওয়া যায় না। আর এতে বইয়ের প্রকাশকরাও খুব বেশি লাভ করতে পারতেন না। আমাজন বাজারে এসে প্রকাশক আর পাঠকদের মাঝে একটি সেতু তৈরি করে সময় আর অর্থ বাঁচিয়ে দিল। এটা ছিল আমাজনের ০ থেকে ১ এ উন্নীত হওয়া। একটি সম্পূর্ণ নতুন ধারণা নিয়ে তারা কাজ শুরু করেছিল।

তবে শুধু বইয়ের বাইরে অন্য সব পণ্য অনলাইনে বিক্রির আইডিয়া প্রথম থেকেই কিন্তু আমাজনের ফাউন্ডার জেফ বেজোসের মাথায় ছিল। তবে তিনি তাঁর ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য অপেক্ষা করেছিলেন। এমনকি প্রথমে আমাজনের সার্ভিস শুধুমাত্র একটি শহরেই সীমাবদ্ধ ছিল। জেফ বুঝে শুনে একটু একটু করে আমাজনকে আজকের পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন।

বই এর সাফল্যের পর আমাজন ধীরে ধীরে সিডি-ডিভিডির মত ছোট ছোট পণ্য অনলাইনে বিক্রি শুরু করে। আর এখন তো চাইলে আপনি সেখান থেকে গাড়িও কিনতে পারবেন!

এবার আসুন জিরো টু ওয়ান বইয়ের লেখক পিটার থেইল এর কথায়। আজকের অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেম এর জয়জয়কারের পেছনে পিটার আর তাঁর পার্টনারদেরই অবদান। তাঁরাই প্রথম পে পাল আবিষ্কার করে অন লাইন পেমেন্টকে এতটা সহজ করে দিয়েছেন।

তবে প্রথমেই তাঁরা সারা বিশ্বের মানুষকে তাঁদের সার্ভিসে আনতে চেষ্টা করেননি। তাঁদের প্রথম টার্গেট মার্কেট ছিল ebey.com এর ব্যবহারকারীরা। ebey একটি অনলাইন নিলাম এর সাইট। এখানে নিলামের মাধ্যমে পুরাতন অথবা নতুন পন্য কেনাবেচা হয়। পে পাল আসার আগে ebey ব্যবহারকারীরা চেকের মাধ্যমে লেনদেন করতেন।

পে-পাল এসে তাদের ব্যাংকে দৌড়ানোর ঝামেলা থেকে দুই-চার দিন অপেক্ষার পর টাকা হাতে আসার বদলে, মিনিট-সেকেন্ডের মধ্যেই একজনের থেকে আরেকজনের কাছে টাকা পৌঁছে যেতে লাগল। আর এভাবেই পে-পাল ই-বে ব্যবহারকারীদের পুরো মার্কেট দখল করেছিল।

ইবে’র সফলতার পরই পে-পাল সাধারণ ব্যবহারকারীদের দিকে নজর দিয়েছিল। তাদের প্রতিষ্ঠানের কর্মী সংখ্যা, এবং সার্ভিস দেয়ার ক্ষমতা সেই পর্যায়ে যাওয়ার পরই তারা আরও বড় মার্কেটে নেমেছিল। কিন্তু প্রথমেই যদি তারা এতবড় মার্কেটে নামত, তাহলে হয়তো আজকের এতবড় সাফল্য পেত না।

এখান থেকে নতুন উদ্যোক্তাদের শেখার বিষয় এটাই। নতুন হিসেবে যে ব্যবসাই করুন না কেন, নিজের অবস্থা বুঝে একটু একটু করে ব্যবসা বড় করুন। আপনার স্বপ্ন বা পরিকল্পনা যত বড়ই হোক না কেন, আগে নিজের দিকে তাকান। বোঝার চেষ্টা করুন আপনি এখন কতটুকু কাভার করতে পারবেন। যতটুকু এখন সম্ভব, ততটুকুই ভালো ভাবে করতে থাকুন। ধীরে ধীরে পুঁজি আর সামর্থ্য বাড়তে থাকলে ব্যবসার ব্যাপ্তিও বাড়ান।

আপাতত ছোট দিয়েই শুরু করুন। ছোট একটি মার্কেট বা ক্রেতাদের এমন একটি ছোট সমস্যা খুঁজে বের করুন যার সমাধানে এখনো কেউ এগিয়ে আসেনি। আপনি প্রথমে এগিয়ে আসায় ক্রেতারা স্বভাবতই আপনার পণ্যের দিকে ঝুঁকবে। এতে আপনার ব্যবসার পরিচিতিটাও ছড়িয়ে পড়বে। আর মার্কেটে প্রথম আসায় আপনার কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিও নেই। ছোট দিয়েই শুরু করুন, দেখুন আস্তে আস্তে এই বিনিয়োগ আপনার পুঁজিতে কোথায় নিয়ে যায়।

ঢাকাটাইমস/১৩সেপ্টেম্বর/এমআর