লাগাতার আন্দোলনে যাচ্ছেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা

প্রকাশ | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৪:৩০

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড ও প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডের দাবিতে লাগাতার আন্দোলনে যাচ্ছে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি।

কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১৯ সেপ্টেম্বর সারাদেশে উপজেলা পর্যায়ে মানববন্ধন এবং ২৮ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানবন্ধন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রার কর্মসূচি ঘোষণা করা করেছেন শিক্ষক সংগঠনটি। এই সময়ের মধ্যে দাবি না মানলে ১ অক্টোবর থেকে লাগাতার কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এসব কর্মসূচি ঘোষণা করেন বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আতিকুর রহমান আতিক। এসময় লিখিত বক্তব্য পেশ করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম।

বর্তমানে প্রধান শিক্ষক পদটি দ্বিতীয় শ্রেণির হলেও তারা বেতন পান ১১তম গ্রেডে। অথচ দ্বিতীয় শ্রেণির অন্য সব চাকরিজীবী ১০ম গ্রেডে বেতন পান। যেকারণে প্রধান শিক্ষকদের একাধিক সংগঠন ১০ম গ্রেডে বেতনের দাবিতে বেশ কয়েকবার আন্দোলনে নামেন।

একাধিকবার আন্দোলন করেছেন সহকারী শিক্ষকরাও। বর্তমানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকরা ১৪তম গ্রেডে বেতন পান। ফলে প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে তাদের বেতনের পার্থক্য তিন ধাপ। কোনোভাবেই সেটি মেনে নিতে রাজি নন সহকারী শিক্ষকরা। তারা প্রধান শিক্ষকের এক ধাপ নিচে বেতন চান। এসব দাবিতে শিক্ষকরা এর আগেও আন্দোলন করেছিল। দাবি আদায়ে এবার লাগাতার কর্মসূচির পালনের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি।

প্রেসক্লাবে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম বলেন, বর্তমানে একজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জাতীয় বেতন স্কেলের ১১তম গ্রেডে টাকা এবং সহকারী শিক্ষক ১৪তম গ্রেডে বেতন পান। ২০০৬ সালে বেতন স্কেল আপগ্রেড এবং ২০১৪ সালে বেতন ও পদমর্যাদা বাড়ানোর ঘোষণায় স্কেলের পার্থক্য দাঁড়ায় তিন ধাপ।

তিনি জানান, ২০১৫ সালের ৮ম জাতীয় বেতন স্কেলে ব্যবধান দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩শ’ টাকা। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এর আগে অর্থ মন্ত্রণালয়ে যে প্রস্তাব দিয়েছিল, আমরা সে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করছি। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সহকারী শিক্ষকদের জন্য ১১তম গ্রেড ও প্রধান শিক্ষকদের জন্য ১০ম গ্রেডের নতুন প্রস্তাব পাঠানোর দাবি জানাচ্ছি।

আগামী ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাদের দেয়া দাবিগুলো বাস্তবায়ন না হলে স্কুলে তালাসহ লাগাতার কঠোর কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়।

এর আগে, ১৯ সেপ্টেম্বর সারাদেশে উপজেলা পর্যায়ে বিকাল তিনটা থেকে এক ঘণ্টা মানববন্ধন করে প্রধানমন্ত্রী বরাবর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে স্মারকলিপি দেওয়া হবে। ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সকাল ১০টায় মানবন্ধন করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বরাবর স্মারকলিপি নিয়ে পদযাত্রা করা হবে।

সংগঠনের সভাপতি আতিকুর রহমান আতিক বলেন, ২৮ সেপ্টেম্বরের কর্মসূচির পর আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি দেবো। স্কুল তালাবদ্ধ কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।

ঢাকাটাইমস/১৩সেপ্টেম্বর/এমআর