মিস্ত্রিকে মারধরের কারণে সৌদি রাজকন্যার ১০ মাসের কারাদণ্ড

বিশ্বের অন্যতম বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক নগরী খ্যাত ফ্রান্সের প্যারিস শহরের বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টে কাজ করতে আসা এক মিস্ত্রিকে মারধরের অভিযোগে সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের মেয়ে বিনতে সালমানকে ১০ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির একটি আদালত।

বিবিসি জানায়, মিস্ত্রিকে মারধর ও অপহরণের অভিযোগে সৌদি রাজকন্যাকে কারাদ-সহ ১০ হাজার ইউরো জরিমানাও করা হয়েছে। একই মামলায় অভিযুক্ত তাঁর দেহরক্ষী রানি সাইদিকে ৮ মাসের কারাদ- এবং ৫ হাজার ইউরো জরিমানা করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী মিশরের নাগরিক আশরাফ ইদ জানান, ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে প্যারিসের অ্যাভেনিউ ফসে রাজকন্যার ওই বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টে কাজ করতে যাওয়ার পর তাকে হাসার পায়ে চুমু খেতে বাধ্য করা হয়। পাশাপাশি রাজকন্যার নির্দেশে দেহরক্ষী সাইদি তাকে মারধর ও কয়েক ঘণ্টা বেঁধে রাখে।

এই ঘটনার পর সৌদি রাজকন্যা ও তাঁর দেহরক্ষী প্যারিস থেকে অন্য দেশে চলে যায়। ২০১৮ সালে উভয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর চলতি বছরের ৯ জুলাই ফ্রান্সের আদালতে বিচার শুরু হয়।

বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণার সময় রাজকন্যা আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তবে তাঁর দেহরক্ষী আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

রাজকন্যার ফরাসি আইনজীবী ইমানুয়েল মইন আদালতের এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে বলে জানিয়েছে। রাজকন্যার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।

এ ঘটনায় রাজকন্যার দাবি, এ্যাপার্টমেন্টের শৌচাগারের বেসিন ঠিক করতে এসে মিস্ত্রি তাঁর ছবি তুলে সেগুলো বিক্রির পরিকল্পনা ছিল। তবে আশরাফের দাবি, তিনি রাজকন্যার ছবি তুলেননি। শুধু শৌচাগারের ছবি তুলেছিল।

সৌদি আরবের আইনে রাজকন্যাদের ছবি তোলা অবৈধ।

ঢাকাটাইমস/১৩সেপ্টেম্বর/আরআর