সাড়ে তিন মাস পর প্রসূতির পেট থেকে গজ উদ্ধার

ফরিদপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৮:৩১
ফাইল ছবি

ফরিদপুরে অস্ত্রপচারের (সিজার) তিন মাস ১৮ দিন পর এক প্রসূতির পেট থেকে ফের অস্ত্রপচার করে বের করা হলো গজ-ব্যান্ডেজ। ওই গৃহবধূ বর্তমানে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে তার পেটে দ্বিতীয় অস্ত্রপচার করা হয়।

ওই গৃহবধূর নাম ফরিদা বেগম। তিনি সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের মাসুদ শেখের স্ত্রী।

গৃহবধূর স্বজনরা জানান, গত ২৫ মে ওই গৃহবধূর প্রসবজনিত কারণে শহরের পশ্চিম খাবাসপুর মহল্লার সাফা মক্কা ক্লিনিকে ভর্তি হন। ওইদিনই ওই হাসপাতালের চিকিৎসক শ্যামল কুমার বিশ্বাস প্রসূতির অস্ত্রপচার করলে কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। তিন দিন পর ওই ক্লিনিক থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি চলে যান ওই গৃহবধূ।

বাড়ি যাওয়ার পর ক্রমেই গৃহবধূর পেটে ব্যথা অনুভব হতে থাকে। সম্প্রতি ওই ব্যথা প্রকট আকার ধারণ করলে একই এলাকার হ্যাপী হাসপাতাল নামে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করে আলট্রাসনোগ্রাম করলে পেটে গজ ও ব্যান্ডেজ দেখা যায়।

পরে গত বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিকে ফের অস্ত্রপচার করে কয়েক ইঞ্চি এক টুকরো গজ উদ্ধার করা হয়। এ অস্ত্রপচার করেন চিকিৎসক স্বপন কুমার বিশ্বাস।

চিকিৎসক স্বপন কুমার বিশ্বাস জানান, রোগীর অবস্থা বেশ সংকটাপন্ন ছিল। সিজারের সময় রোগীর পেটে গজ-ব্যান্ডেজ রেখেই সেলাই করা হয়। ফলে সেই গজ পচে রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তিনি বলেন, বর্তমানে রোগী সুস্থ আছেন এবং তিনি শঙ্কামুক্ত।

এ ব্যাপারে সিজার অপারেশন করা চিকিৎসক শ্যামল কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘ওই রোগীর সিজার তিনি করেছিলেন কিনা তা তিনি স্মরণ করতে পারছেন না। কবে কোথায় সিজার অপারেশন করেছেন, তা তিনি খাতাপত্র না দেখে কিছু বলতে পারছেন না।’

ফরিদার স্বামী মাসুদ শেখ জানান, পেটের মধ্যে গজ-ব্যান্ডেজ রেখে তা সেলাই করার পর তাদের রোগীর অবস্থা বেশ খারাপ হয়ে যায়। অন্য একটি হাসপাতালে ভর্তি করে ফের অপারেশনের মাধ্যমে গজ-ব্যান্ডেজ বের করা হয়। এতে করে তাদের বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ হয়েছে। এ ঘটনার জন্য দায়ী চিকিৎসক এবং ক্লিনিক মালিকের বিচার দাবি করেন তিনি।

(ঢাকাটাইমস/১৩সেপ্টেম্বর/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :