প্রতিহিংসার রাজনীতি চরম পর্যায়ে নেন খালেদা: তথ্যমন্ত্রী

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান দেশে প্রতিহিংসার রাজনীতি শুরু করেন এবং তার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া তা চরম পর্যায়ে নিয়ে যান বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। আওয়ামী লীগ প্রতিহিংসার রাজনীতি করে না বলেও দাবি করেছেন তিনি।

শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।উপমহাদেশের অন্যতম প্রভাবশালী নেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ১২৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যের হত্যাকাণ্ডের দিনে বেগম খালেদা জিয়া ১৯৯২ সাল থেকে ১৫ আগস্টে তার জন্মদিন পালন করছেন। কেবল প্রতিহিংসার কারণে তিনি তার জন্মদিন পরিবর্তন করেছেন।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় এবং তার ছেলে তারেক রহমানের নেতৃত্বে তদানীন্তন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনাকে হত্যা ও আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বহীন করতে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের জনসমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল।’

‘বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন শাহ এ এম এস কিবরিয়া ও আহসানুল্লাহ মাস্টারসহ আওয়ামী লীগের অনেক নেতা বোমা হামলায় নিহত হয়েছেন, কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বিএনপির ওপর হামলার এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।’

আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘এ ঘটনাগুলোই প্রমাণ করে বিএনপি প্রতিহিংসার রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এজন্য তাদের জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।’

সোহরাওয়ার্দীকে ‘গণতন্ত্রের চ্যাম্পিয়ন’ আখ্যায়িত করে রাজনীতিতে তার অবদানের কথা স্মরণ করে হাছান বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন অর্জনে তার নাম যুক্ত রয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির প্রতিষ্ঠাতা। তিনি বাঙালি জাতিকে উচ্চ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেছিলেন। আর তার কন্যা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার অসমাপ্ত কাজ বাস্তবায়ন করছেন।

বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সারাহ্ বেগম কবরীর সভাপতিত্বে আলোচনায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বদিউল আলম বদি, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, সংগীত শিল্পী রফিকুল আলম এবং অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস।

(ঢাকাটাইমস/১৩সেপ্টেম্বর/জেবি)