উইঘুর শিশুদের পরিবার থেকে আলাদা করছে চীন: রিপোর্ট

প্রকাশ | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৩:০৯ | আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৩:১৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস

উইঘুরদের ওপর চীনের নানারকম নির্যাতনের কথা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের বিভিন্ন প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। উইঘুর মুসলিমদের ইসলাম ধর্ম পালন থেকে বিরত রাখতে তাদের ওপর চালানো হচ্ছে অমানুষিক নির্যাতন। এবার জানা গেছে, উইঘুর মুসলিম শিশুদের তাদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করছে চীন সরকার। এ বিষয়ে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।

ওই অঞ্চলের বেশ কয়েকজনের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে এই গবেষণা চালিয়েছে বিবিসি। জানা গেছে, শুধু একটি শহরেই চার শতাধিক বেশি শিশুর পিতা-মাতা উভয়কেই হয় বন্দিশিবিরে বা কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে।

গবেষকরা জানিয়েছেন, যেসব প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে, তা শিশুদের পর্যায়ক্রমে তাদের শিকড় থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে প্রচারণা চালানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে। কঠোর গোয়েন্দা নজরদারি এবং জিনজিয়াংয়ের ওপর এখন চীন সরকারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের কারণে ওই অঞ্চল থেকে এ বিষয়ে কোনো তথ্য বের করা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ, সেখানে বিদেশি সাংবাদিকদের ২৪ ঘণ্টা নজরদারিতে রাখা হয়। তবে তুরস্কে আশ্রয় নেওয়া উইঘুর মুলসমানদের কাছ থেকে কিছু প্রমাণ সংগ্রহ করা গেছে।

আলাদা আলাদা ভাবে ৬০ জনের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন গবেষকরা। যারা জিনজিয়াংয়ে শতাধিক শিশু নিখোঁজ হওয়ার তথ্য দিয়েছেন। নিখোঁজ শিশুগুলো তাদের সন্তান বা খুব কাছের আত্মীয়। শিশুরা সবাই চীনের উইঘুর মুসলমান সম্প্রদায়ের। জিনজিয়াংয়ের বৃহৎ আদিবাসী মুসলমান সম্প্রদায় উইঘুরদের সঙ্গে তুরস্কের ভাষা ও বিশ্বাসের মেলবন্ধন দীর্ঘদিনের।

চীনের উইঘুর সম্প্রদায়ের হাজার হাজার মানুষ লেখাপড়া, ব্যবসা, পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে বা চীনের কঠোর এক সন্তান নীতি এবং ধর্মীয় নিপীড়ন থেকে বাঁচতে তুরস্কে যাতায়াত করত। কিন্তু গত তিন বছর ধরে তারা আটকা পড়ে আছে। তিন বছর আগে চীন সরকার সন্ত্রাস দমনের নামে উইঘুর ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনকে ধরে ধরে বন্দিশিবিরগুলোতে নিয়ে যাওয়া শুরু করে।

চীনা কর্তৃপক্ষের দাবি, ‘কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোতে ধর্মীয় চরমপন্থার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জন্য উইঘুর মুসলমানদের নানা শিক্ষা দেওয়া হয়। কিন্তু নানা প্রমাণ বলছে, সেখানে শুধু ধর্মীয় বিশ্বাস বা ধর্ম পালন এবং মুখ ঢাকা হিজাব পরার কারণে অনেককে ধরে আনা হয়েছে। কাউকে কাউকে তুরস্কে বা অন্যান্য দেশের সঙ্গে যোগাযোগ থাকার কারণেও আটক রাখা হয়েছে।’

ঢাকা টাইমস/১৪সেপ্টেম্বর/একে