জাবির ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দাবি করছি
আমাদের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি রাহুল কয়েকদিন আগে আমাকে টেলিফোন করে বলেছিল, জাবি কর্তৃপক্ষ ছাত্রলীগকে দুই কোটি টাকা দিয়েছে। আমার কাছে বিষয়টা অবিশ্বাস্য মনে হয়েছিল। এটাও কি কখনও হতে পারে! আমি রাহুলকে বললাম, কোনো প্রমাণ আছে? রাহুল বলল, প্রমাণ নাই। তবে টাকাটা কর্তৃপক্ষ দিয়েছে এটা নিশ্চিত। আমি বললাম, প্রমাণ না থাকলে রিপোর্ট লেখার দরকার নাই।
এখন আমি অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাব্বানী বলছে, ওই টাকার কিছুই তারা পায়নি। জাবি ছাত্রলীগ এক কোটি ৬০ লাখ টাকা খেয়ে ফেলেছে। আবার ভিসি অভিযোগ করেছেন, ছাত্রলীগ সভাপতি শোভন ও সাধারণ সম্পাদক রাব্বানী তার কাছে চাঁদা দাবি করেছেন।
আমি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রাক্তন ছাত্র হিসেবে ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দাবি করছি। জাবি ছাত্রলীগকে কোনো চাঁদা বিশ্ববিদ্যালয় দেয়ার প্রমাণ পাওয়া গেলে ভিসিকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে। কেননা কেউ চাঁদা দাবি করলে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের দৃঢ়তা দেখানো উচিত ছিল।
বর্তমান ভিসি ফারজানা ইসলাম আমার নৃবিজ্ঞান বিভাগের একজন শিক্ষক। আমার বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে, আমার বিভাগের কোনো শিক্ষক কোনো অনৈতিক চাপের কাছে নতি স্বীকার করবেন!
লেখক: জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক