৪২ বছর আগের ছাগল চুরির মামলায় গ্রেপ্তার অভিযুক্ত

প্রকাশ | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১০:১৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস

৪২ বছর আগে ছাগল চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়েছিলেন বাবা-ছেলে। সেসময় ওই ছাগলটির দাম ছিল ৪৫ টাকা। সেসময় বাবা-ছেলেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে বিষয়টি মিমাংসা হয়ে যায়। যার ছাগল সে ফেরত পায়।

তবে অবাক করা বিষয় হলো পুলিশের ফাইল থেকে সেই মামলা প্রত্যাহার করা হয়নি। এই কারণে ওই ঘটনার ৪২ বছর পর সেই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে সেসময়ে ১৬ বছরের তরুণ বর্তমানে ৫৮ বছরের বাচ্চু কলকে। তার বাবা মারা গেছেন আগেই। আর যার ছাগল চুরি গিয়েছিল তার বয়স এখন ৮৬। তিনি কানে শোনেন না ভালো। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের ত্রিপুরায়। খবর আনন্দবাজারের।

ত্রিপুরার বোধজং থানার ওসি সুকান্ত সেনচৌধুরী ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে জানান, ১৯৭৮ সালে আগরতলার নন্দননগর এলাকার কুমুদ ভৌমিকের একটি পাঁঠা চুরি হয়। তিনি থানায় অভিযোগ করেন। অভিযুক্ত মোহন কল ও তার ছেলে বাচ্চু কল। সেসময় কি হয়েছিল সুকান্তবাবু জানেন না।

তবে গত ১২ আগস্ট ত্রিপুরা হাইকোর্ট রাজ্য পুলিশকে নির্দেশ দেয়, ২৫ বছর বা তার বেশি সময় ধরে ঝুলে থাকা সব মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে। আসামিদের গ্রেপ্তার করতে হবে। এরপরই বাবা-ছেলের বিরুদ্ধে আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আসে থানায়। পরোয়ানা পেয়ে সুকান্তবাবু মামলাকারীর ঠিকানা জোগাড় করে তার সঙ্গে কথা বলে জিরানিয়া মহকুমার রানিরবাজারের মেখলিপাড়া চা বাগান থেকে  বাচ্চু কলকে গ্রেপ্তার করেন। খবর পান মোহন কলের মৃত্যু হয়েছে। পরে বাচ্চুকে কোর্টে পাঠানো হয়।

অভিযোগকারী কুমুদবাবুকে ফোন করা হলে তার স্ত্রী বিজয়প্রভা ভৌমিক জানান, ৮৬ বছরের কুমুদবাবু কানে কম শোনেন। ৪২ বছর আগের ছাগল চুরির গল্প বলেন বিজয়প্রভা। তখন তার দুধের ব্যবসা ছিল। স্বামীর চা ও ফলের দোকান। এক দিন সন্ধ্যায় বাড়ি বাড়ি দুধ দিতে বেরিয়েছিলেন বিজয়প্রভা। ফিরে দেখেন তার ছাগলটি নেই। গরু-ছাগল যে ছেলেটি দেখত সেই বাচ্চুর বাড়িতে তিনি যান। তারা বাপ-ছেলে কেউই বাড়িতে ছিল না।

পরের দিন সকালে স্বামীর কাছে কেঁদে পড়েন মহিলা। বিজয়প্রভার কথায়, ‘সেদিন ছিল রানির বাজারের হাট বার। সেখানে গিয়ে ছাগলসহ বাপ-ছেলেকে হাতেনাতে ধরেন আমার স্বামী। ছাগল পেয়ে তাদের আমিই স্থানীয় মানুষদের হাত থেকে রক্ষা করি। পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ক’দিন পর তারা ছাড়া পায়।’

এখন ৪২ বছর পর কেনো আবার তা নিয়ে নাড়াচাড়া, বোধগম্য হচ্ছে না বিজয়প্রভারও।

ঢাকা টাইমস/১৫সেপ্টেম্বর/একে