সুন্দরীদের বিচারক ফেরদৌস-মৌসুমী

বিনোদন প্রতিবেদক
 | প্রকাশিত : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৩:১১

শুরু হয়ে গেছে ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ ২০১৯’ প্রতিযোগিতা। গত ৮ সেপ্টেম্বর নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষে ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে অডিশনও। ১৮ থেকে ২৭ বছর বয়সী অবিবাহিত বাংলাদেশি নারী এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছেন। সারা দেশ থেকে অংশ নেয়া হাজারো সুন্দরীদের মধ্য থেকে বেছে নেয়া হবে সেরা সুন্দরীকে। তিনি আগামী ৪ অক্টোবর গালা ইভেন্টের মাধ্যমে সরাসরি লন্ডনে অনুষ্ঠেয় ‘মিস ওয়ার্ল্ড’-এর মূল মঞ্চে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন।

যৌথভাবে এবারের প্রতিযোগতার আয়োজনে রয়েছে অমিকন এন্টারটেইনমেন্ট ও এক্সপার্ট ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট। প্রতিযোগিতায় মূল বিচারকের দায়িত্ব পালন করবেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ ও নায়িকা মৌসুমী। এই প্রথম একসঙ্গে বিচারকের আসনে তারা। আরও থাকবেন উইমেন্স ওয়ার্ল্ডের প্রধান নির্বাহী রূপসজ্জা বিশেষজ্ঞ ফারনাজ আলম। এছাড়া অতিথি বিচারক হিসেবে ২০১৭ সালের ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ বিজয়ী ভারতের মানুষী ছিল্লারেরও থাকার কথা রয়েছে।

শনিবার এফডিসির ৮ নম্বর ফ্লোরে সংবাদ সম্মেলন করে বিচারকদের নাম ঘোষণা করে তাদের পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। সেখানে ফেরদৌস, মৌসুমী ও ফারনাজ আলম ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এটিএন বাংলার চেয়্যারম্যান ড. মাহফুজুর রহমান, আয়োজক প্রতিষ্ঠান অমিকন এন্টারটেইনমেন্টের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মেহেদী হাসান, এক্সপার্ট প্রোভাইডারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অপু খন্দকার এবং এক্সপোজার লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী সজীব রশীদসহ অনেকে।

অনুষ্ঠানে বিচারকদের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘রিয়েলিটি শো-গুলোতে দেখা যায়, কিছুদূর যাওয়ার পর বিচারকদের আর স্বাধীনতা থাকে না। বিচারকদের ওপর অনেক কিছু চাপিয়ে দেয়া হয়। তারা সেই মতো কাজ করতে বাধ্য হন। কিন্তু আমি চাই, বিচার কার্য সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য বিচারকদের যেন সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দেয়া হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতা শুধু সৌন্দর্যের বিচার নয়, বুদ্ধিমত্তা ও ব্যক্তিত্বেরও বিচার। নারীকে শুধু সৌন্দর্য দিয়ে বিচার করা ঠিক নয়। তারা তাদের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে সমাজে অবদান রাখছে। এছাড়া আমাদের সংস্কৃতির বাইরে কিছু করা উচিত না। অবশ্যই আমাদের মেয়েরা তাদের সৌন্দর্য, দক্ষতা দিয়ে বাংলাদেশেরই প্রতিনিধিত্ব করবে। আমরা বাঙালি, সেই সংস্কৃতিকেই তারা বিশ্বের কাছে তুলে ধরবে।’

নায়ক ফেরদৌস বলেন, ‘আমি ও মৌসুমী প্রথমবারের মতো একসঙ্গে বিচারকের দায়িত্ব পালন করতে যাচ্ছি। ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’-এর মতো আয়োজনগুলোকে আমি বেশ ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখি। বাংলাদেশ থেকে একটা মেয়ে গিয়ে যদি ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ খেতাব নিয়ে আসতে পারে, তা আমাদের দেশকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে। ক্রিকেট যেভাবে আমাদের দেশকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিয়েছে, এই খেতাবও আমাদের জন্য অনেক বড় অর্জন হবে বলে আশা করি।’

আয়োজকরা জানান, এবার ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ ২০১৯’ শুধু বিউটি কনটেস্টের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে এই প্ল্যাটফর্মটি সামাজিক সচেতনতামূলক উন্নয়নকাজেরও অংশীদার হচ্ছে। এবারের আয়োজনে বেশ কিছু চমক থাকছে বলেও দাবি করেন আয়োজকরা।

‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’-এর আগের দুটি আয়োজন ছিল সমালোচনা ও বিতর্কে ভরপুর। ২০১৭ সালে বিবাহিত হয়েও প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে নিন্দিত হয়েছিলেন জান্নাতুল নাঈম এভ্রিল। চ্যাম্পিয়ন হয়েও বিয়ের খবর প্রকাশ হওয়ার পর তাকে হারাতে হয়েছিল সেরার মুকুট।

এরপর নতুন ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ হিসেবে জেসিয়া ইসলামের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। তিনি পরে চীনে ‘মিস ওয়ার্ল্ড’-এর মূল প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। কিন্তু বিশেষ কোনো কৃতিত্ব দেখাতে পারেননি। সেবার আয়োজকদের কথা মতোই বিচারকরা রায় দিয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল।

২০১৮ সালের প্রতিযোগিতা নিয়েও দর্শকদের মধ্যে ছিল নানা অভিযোগ। কারণ গ্র্যান্ড ফিনালের আগের দিনই প্রকাশ হয়ে গিয়েছিল, কে হবেন চ্যাম্পিয়ন। পরের দিন গুঞ্জনটাই সত্যি হয়। ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ ২০১৮’ হিসেবে ঘোষণা করা হয় পিরোজপুরের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশীর নাম। এ নিয়ে তুমুল সমালোচনা শুরু হয়।

তবে সেসব সমালোচনা ও বিতর্ককে পাশ কাটিয়ে ঐশী চীনে ‘মিস ওয়ার্ল্ড’-এর মূল প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে যান। প্রথমবারের মতো সেরা ৩০-এ জায়গা করে নিয়ে বিশেষ কৃতিত্বও দেখান। কাজেই আগের দুইবারের মতো এবার যেন কোনো সমালোচনা ও বিতর্কের জন্ম না হয়, তাই আগেভাগেই বিচারকদের স্বাধীনতার কথা মনে করিয়ে দিলেন মৌসুমী।

ঢাকাটাইমস/১৫ সেপ্টেম্বর/এএইচ

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :