এবার ছাত্রদলের কাউন্সিল নিয়ে ‘ভুয়া’ বিজ্ঞপ্তি

প্রকাশ | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৬:৪৪ | আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৭:০৬

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

সাবেক এক নেতার হঠাৎ মামলায় আটকে গেছে ছাত্রদলের কাউন্সিল। আদালতের অস্থায়ী স্থগিতাদেশ থাকায় কবে নাগাদ এ কাউন্সিল হবে তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন ছাত্র সংগঠনটির প্রার্থী থেকে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় যুক্ত নেতারা।

তারই মধ্যে ১৮ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ বুধবার সকাল থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত কাউন্সিলের ভোটগ্রহণ হবে বলে একটি বিজ্ঞপ্তি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তবে এই খবরটি ভুয়া এবং সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন ছাত্রদল নেতারা। এ জন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে অনুরোধ করেছেন তারা।

রবিবার ছাত্রদলের সবশেষ কমিটির দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে এবিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার অনুরোধ করেছেন।

পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘ছাত্রদলের কাউন্সিল সম্পর্কে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেসব তারিখ ও দিন প্রচার করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ছাত্রদলের কাউন্সিল কবে হবে তা শীঘ্রই কাউন্সিলরদের জানিয়ে দেয়া হবে।’

আরেকটি পোস্টে সাবেক সহ-সভাপতি নাজমুল হাসান লিখেছেন, ‘পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে এটি কিছু কুচক্রীমহলের কাজ। কেউ বিভ্রান্ত হবেন না। এটা ভুয়া বিজ্ঞপ্তি।’

ছড়িয়ে পড়া ওই বিজ্ঞপ্তিতে খাইরুল কবির খোকনের স্বাক্ষর দেখানো হয়েছে, যিনি ছাত্রদলের ষষ্ট কাউন্সিলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক।

এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিবের দায়িত্বে থাকা খোকনের বক্তব্য ঢাকা টাইমস নিতে পারেনি। রবিবার বিকালে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে অন্য একজন ফোন ধরে বলেন, নেতারা সবাই মিটিংয়ে আছেন।

অন্যদিকে ওই বিজ্ঞপ্তিতে রিটার্নিং অফিসারের জায়গায় ফজলুল হক মিলনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তার বক্তব্য জানতে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

আর ছাত্রদলের সবশেষ কমিটির সভাপতি রাজীব আহসান ঢাকা টাইমসকে জানান, কে বা কারা এমন বিজ্ঞপ্তি ছেড়েছে তারা জানেন না। বলেন, ‘এ নিয়ে বিভ্রান্তির কোনও সুযোগ নেই। এটা নিশ্চিত থাকেন যে এটা ছাত্রদলের কোনও বিজ্ঞপ্তি নয়।’

উল্লেখ্য, গেল শনিবার ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠানের কথা ছিল। এতে সারাদেশের ৫৮০ জন কাউন্সিলর ভোট দিয়ে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করতেন। কিন্তু সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-ধর্ম সম্পাদক আমানউল্লাহ আমানের এক আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত থেকে কাউন্সিলের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেয়। একইসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দশ নেতাকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন আদালত।

আদালতের এই নির্দেশে আটকে যায় ছাত্রদলের কাউন্সিল। নতুন করে কবে ভোট নেয়া যায় সে বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছেন বিএনপির নীতিনির্ধারকরা। এরইমধ্যে ১৮ সেপ্টেম্বর কাউন্সিলের কথা উল্লেখ করে ‘ভুয়া’ বিজ্ঞপ্তিটি ছড়িয়ে পড়ে।

(ঢাকাটাইমস/১৪ সেপ্টেম্বর/বিইউ/ডিএম)