এক লাখ ৮৩ হাজার অতিদরিদ্র পরিবারের টেকসই উন্নয়ন

প্রকাশ | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৯:৪৬ | আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১০:০০

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

অতিদারিদ্র্য বিমোচনে কর্মসূচি ‘ইউপিপি-উজ্জীবিত কম্পোনেন্ট’- এর মাধ্যমে এক লাখ ৮৩ হাজার অতিদরিদ্র পরিবারকে চরম দারিদ্র্য থেকে টেকসইভাবে উন্নয়ন করা সম্ভব হয়েছে।

রবিবার পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)-এর এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। সংস্থাটির মিলনায়তনে চূড়ান্ত মূল্যায়ন প্রতিবেদন উপস্থাপন উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পিকেএসএফ-এর চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, মেয়াদভিত্তিক প্রকল্প থেকে পাওয়া সুফল স্থায়ী হয় না, তাই বহুমাত্রিক দারিদ্র্যকে দূর করতে প্রয়োজন মানবকেন্দ্রিক সমন্বিত ও বহুমাত্রিক উদ্যোগ। 'কাউকে বাদ দিয়ে নয়'-এই মূলমন্ত্রকে ধারণ করে টেকসই উন্নয়নমূলক কার্যক্রম গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে ১১.০৫ মিলিয়ন ইউরো বাজেটের ‘উজ্জীবিত’ প্রকল্পটি নভেম্বর ২০১৩ সাল থেকে শুরু হয়ে এপ্রিল ২০১৯ পর্যন্ত মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন করে পিকেএসএফ। ৩৬টি নির্বাচিত সহযোগী সংস্থার মাধ্যমে এক হাজার ৭২৪টি ইউনিয়নে এটি বাস্তবায়িত হয়। এসকল এলাকায় বসবাসরত প্রায় তিন লাখ ২৫ হাজার নারী-প্রধান এবং অতিনাজুক অতিদরিদ্র পরিবারকে চরম দারিদ্র্য অবস্থা থেকে টেকসইভাবে প্রাগ্রসর করাই ছিল এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য।

পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব অরিজিৎ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনাসমূহের মধ্যে দারিদ্র্য বিমোচন উল্লেখযোগ্য। দেশে এখনো যারা অতিদরিদ্র রয়েছেন, তাদের জন্য উপযুক্ত, কার্যকর উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ফার্স্ট সেক্রেটারি মানফ্রিড ফারনহোলজ বলেন, বাংলাদেশ নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশের কাতারে আজ অবস্থান করছে। বাংলাদেশের এই উন্নয়নে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহায়তা করেছে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে।

পিকেএসএফ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেন, গত পাঁচ বছরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে বাস্তবায়িত 'উজ্জীবিত' প্রকল্পের কার্যক্রমসমূহ মাঠপর্যায়ে বেশ সাড়া ফেলেছে। সহযোগী সংস্থাসমূহকে এসব উদ্যোগ মাঠপর্যায়ে নিজস্ব অর্থায়নে চলমান রাখার আহ্বান জানান তিনি। উজ্জীবিত প্রকল্পের উত্তম কার্যক্রমসমূহ পিকেএসএফ-এর মূল কর্মসূচিতে সংযোজনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন পিকেএসএফ-এর উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ.কিউ.এম. গোলাম মাওলা এবং উজ্জীবিত প্রকল্পের চূড়ান্ত মূল্যায়ন প্রতিবেদনের ওপর উপস্থাপনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক ড. এম.এ. বাকী খলীলী। অনুষ্ঠানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি, সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধি ও পিকেএসএফ-এর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/১৫সেপ্টেম্বর/জেআর/জেবি)