ধর্ষণ মামলায় একজনের যাবজ্জীবন

প্রকাশ | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ২০:০২

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বিয়ে করবে এমন প্রলোভন দিয়ে এক নারীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগের মামলায় এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।

রবিবার ঢাকার সাত নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. খাদেম উল কায়েশ এ রায় ঘোষণা করেন।

একই সঙ্গে রায়ে দণ্ডিতের ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও চার মাস কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন বিচারক।

দণ্ডিত যুবকের নাম অপূর্ব সরকার। তিনি টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুরের সিংজুড়ির গৌর চন্দ্র সরকারের ছেলে। তিনি বর্তমানে পলাতক।

মামলায় বলা হয়, আসামি অপূর্ব সরকার ভিকটিমের সঙ্গে পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে ভিকটিমকে ডেসটিনি গ্রুপের মালিবাগ হোসাফ টাওয়ার নামক বিল্ডিংয়ে একটি ট্রেনিং কোর্সে ভর্তি করেন। ট্রেনিং শেষে আসামি ভিকটিমকে বিভিন্ন সময় চাকরি, প্রেম ও বিয়ে করার প্রলোভন দেখায়। ওই অবস্থায় ২০১১ সালের ১১ এপ্রিল ডেসটিনি অফিস থেকে মিটিং শেষে ভিকটিমকে তার বাসায় পৌঁছে  দেয়ার কথা বলে তাকে মহাখালী এমএ ম্যানশনে নিয়ে যান। ভিকটিমকে তিনি বিয়ের প্রস্তাব দিলে রাজি হন এবং ভিকটিমকে স্ত্রী পরিচয়ে হোটেলে নিয়ে যান। পরে বিয়ে করবে প্রলোভন দেখিয়ে একাধিক বার শারীরিক সম্পর্ক করেন। পরবর্তী সময়ে ভিকটিম আসামিকে বিয়ের চাপ দিলে ওই বছরের ১৩ এপ্রিল ঢাকেশ্বরী মন্দিরে নিয়ে ভিকটিমের সিঁথিতে সিঁদুর পরানো হয়। এরপর ওই বছর ১৬ মে ভিকটিম তার মা ও বোনকে নিয়ে ডেসটিনি অফিসে গেলে আসামি অঙ্গীকারনামা দেন যে, তিনি অর্থনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর তাকে ঘরে তুলবেন।  পরে ২০১৩ সালের ৭ মার্চ ভিকটিমকে জানিয়ে দেন তাকে স্ত্রীর মর্যাদা দেবেন না এবং ঘরে তুলে নেবেন না।

পরে ভিকটিম ২০১৩ সালের ২১ মার্চ আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্তের পর ওই বছরের ২০ আগস্ট নারী সহায়তা ও তদন্ত বিভাগের এসআই কুইন আক্তার আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলাটির বিচারকাজ চলাকালে আদালত চার্জশিটভুক্ত ১১ জন সাক্ষীর  ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

(ঢাকাটাইমস/১৫সেপ্টেম্বর/আরজেড/জেবি)