বিদেশে উচ্চশিক্ষার ‘এ টু জেড’

প্রকাশ | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১১:৩১

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বিদেশে উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী শিক্ষার্থীদের ১৯৯৮ সাল থেকে সহায়তা করছে এ টু জেড স্টাডি। এই সুদীর্ঘ ২১ বছর ধরে প্রতিষ্ঠানটি কানাডা, যুক্তরাজ্য, নিউজিল্যান্ড, মালয়েশিয়া, দুবাইসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শিক্ষার্থী ভর্তি এবং ভিসা প্রসেসিংয়ে সফল হয়েছে। 

প্রতিষ্ঠানটির বনানী সেন্টারের ম্যানেজার অরুন্ধতী পোদ্দার জানান, বিদেশে পড়তে যেতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের কাক্সিক্ষত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি থেকে শুরু করে ভিসা প্রসেসিংয়ে সহায়তা করছে। 

তিনি আরো জানান, একজন শিক্ষার্থীর জন্য উপযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় খুঁজে বের করা, সময়োপযোগী পড়ার বিষয় এবং দেশ নির্বাচনের যাবতীয় কাজটি করছে এ টু জেড স্টাডি। 

প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, সাধারণত বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা উচ্চমাধ্যমিকের গ-ি পেরিয়ে বিদেশে পড়তে যেতে চায়। সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা কিংবা যুক্তরাষ্ট্র। এসব দেশে পড়াশোনার খরচ তুলনামূলক বেশি। অন্যদিকে এশিয়ার কিছু দেশে তুলনামূলক কম খরচে পড়ার সুযোগ আছে। এসব দেশের মধ্যে আছে ভারত, মালয়েশিয়া কিংবা মিশর। 

অরুন্ধতী পোদ্দার বলেন, ‘আমাদের এ টু জেড স্টাডির মাধ্যমে তথ্য ও অন্যান্য সহায়তা নিয়ে বিদেশে পড়তে যেতে চাইলে প্রথমেই একটি ফাইল ওপেন করতে হয়। যার জন্য নির্দিষ্ট ফি রয়েছে। নির্ধারিত ফরম পূরণ করে এই ফাইলে শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র যেমনÑ শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদের কপি, পাসপোর্ট এবং ভাষা দক্ষতার সনদ সংরক্ষণ করা হয়। এরপর শিক্ষার্থীকে কাউন্সিলিং দেওয়া হয়। যাতে করে সে দেশ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিষয় নির্বাচন করতে পারে। এর পরের ধাপে শিক্ষার্থী যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ইচ্ছুক সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের যাবতীয় তথ্য সরবরাহ করা হয়। ভর্তির পুরো প্রক্রিয়াতে এজেন্সি সহযোগিতা করে। শেষ ধাপে ভিসা প্রসেসিংয়ে ফাইলপত্র তৈরি এবং ভিসা পাওয়ার জন্য কাউন্সিলিং করা হয়। ভিসা পাওয়ার পর নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি ফাইল প্রসেস বাবদ নেওয়া হয়। বেশির ভাগ দেশে বাংলাদেশ থেকে পড়তে গেলে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা পরীক্ষায় নির্দিষ্ট স্কোর থাকতে হয়। বিশেষ করে কোনো কোনো দেশে পড়তে গেলে আইইএলটিএস স্কোর লাগে। কোনো দেশে লাগে টোফেল স্কোর। ভাষায় দক্ষ হতে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা করে এ টু জে স্টাডি।

প্রতিষ্ঠানটি জানায়, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, নিউজিল্যান্ডে পড়তে যেতে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের প্রতি বছর টিউশন ফি গুনতে হবে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা। দেশ ও বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে খরচটা ওঠানামা করে। এছাড়াও এসব দেশে পড়তে গেলে থাকা- খাওয়ার খরচ তো আছেই। যদিও পৃথিবীর অনেক দেশেই পড়াশোনার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের খ-কালীন কাজের সুযোগ আছে। ফলে কাজ করে পড়াশোনার খরচটা উঠিয়ে নেওয়া যায় অনায়াসেই। বিদেশের কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি, টিউশন ফিতে ছাড়েরও সুযোগ দেওয়া হয়।

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এ টু জেড স্টাডির প্রতিনিধি বা এজেন্ট আছে। ফলে বিদেশ বিভুঁইয়ে গিয়ে শিক্ষার্থীদের বিড়ম্বনায় পড়তে হয় না। মেলে গাইডের সহযোগিতা। বিশেষ করে বিমানবন্দর থেকে হোটেলে, বিশ্ববিদ্যালয়ে কিংবা আবাসনস্থলে পৌঁছে দেওয়া। বিদেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য এখন সহজেই অনলাইনে পাওয়া যায়। ভর্তি হওয়াটাও আগের চেয়ে সহজ। কিন্তু ভিসা পাওয়াটাই কঠিন। এই কঠিন কাজটি সহজ করতে এ টু জেড স্টাডির রয়েছে আলাদা ভিসা প্রসেসিং বিভাগ। এই বিভাগ নির্দিষ্ট ফির বিনিময়ে শিক্ষার্থীকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করে।  

(ঢাকাটাইমস/১৬সেপ্টেম্বর/এজেড)