জাবি উপাচার্যের অপসারণ চান ফখরুল

প্রকাশ | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৪:০৯ | আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৪:১১

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগকে ঘুষ দেওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে, সেজন্য ভিসি ফারজানা ইসলামের অপসারণ চেয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল।

সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে এই দাবি জানান তিনি। ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি উপলক্ষে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পের চাঁদা দেওয়ায় ভাইস চ্যান্সেলর নাম চলে এসেছে। উনি নাকি ইতোমধ্যে এক কোটি ৬০ লাখ টাকা দিয়ে দিয়েছেন। তাহলে শুধুমাত্র ছাত্র কেনো? ভাইস চ্যান্সেলরের কি হবে?

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই ঘটনায় শুধু ছাত্রলীগের দুই নেতা নয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে অপসারণ করা উচিত।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজ চেষ্টা করেও দুর্নীতি আর থামিয়ে রাখা যাচ্ছে না। থলের বিড়ালের মতো দুর্নীতি বের হয়ে আসছে।

মানববন্ধনে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনগণকে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করবার জন্য তাদেরকেই দাঁড়াতে হবে। বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা- সার্বভৌমত্বের প্রতীক। তাই গণতন্ত্র ও খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার জন্য দাঁড়াতে হবে। সব কিছু নিয়ে রুখে দাঁড়াতে হবে। রাজপথে তার প্রতিবাদ করতে হবে। আমাদের অধিকার আমাদেরকেই ছিনিয়ে আনতে হবে। কেউ আমাদের অধিকার দিয়ে যাবে না।’

তিনি বলেন, আমাদের অধিকার আমাদেরকেই ছিনিয়ে আনতে হবে, কেউ আমাদের অধিকার দিয়ে যাবে না।

এ সময় নতুন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কথাও উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব। বলেন, ‘তিনি ভালো ভালো কথা বলেছেন। একটা কথা বলেছেন, যদি কোনো ওসি কাজ না করে এবং সেবার বিনিময়ে অর্থ চান তাহলে আমাদের জানাবেন। আমরা সেখানে গিয়ে বসব। আমরা তার এ বক্তব্যকে সাধুবাদ জানাই।’

আসামের নাগরিকপঞ্জির বিষয়ে ফখরুল বলেন, আসামের মন্ত্রী বলেছেন, এখানে যারা আছে, সবাইকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে। কিন্তু আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, আমরা ভারত সরকারকে বিশ্বাস করতে চাই। ধিক এই নতজানু সরকারের পররাষ্ট্রনীতিকে, ধিক এই গণতন্ত্রহরণকারী সরকারকে।

রাজনীতিবিদরা এখন আর রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন না, রাষ্ট্রই এখন রাজনীতিবিদদের পরিচালনা করছে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, জনগণের সঙ্গে সরকারের কোন সম্পর্ক নেই। তারা জনগণ থেকে সম্পূর্ণ বিছিন্ন। একারণে নির্বাচনের আগে রাতে ভোট চুরি করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে হয়।

মুক্তিযোদ্ধা দলের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান খানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বিএনপি নেতা ফজলুর রহমান, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, শিরিন সুলতানা, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক আহমেদ খান প্রমুখ বক্তব্য দেন।

(ঢাকাটাইমস/১৫সেপ্টেম্বর/বিইউ/এমআর)