ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি ফেরানোর আপ্রাণ চেষ্টা করব: নাহিয়ান

প্রকাশ | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৬:১৬

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

ঐতিহ্যবাহী সংগঠন ছাত্রলীগের সদ্য ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পাওয়া আল নাহিয়ান খান জয় জানিয়েছেন, তারা সংগঠনের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনতে প্রাণপণ চেষ্টা করবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে তার নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করে যাবেন।

সোমবার দুপুরে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।

নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জেরে গত শনিবার রাতে ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক শোভন এবং সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাদের জায়গায় ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব দেয়া হয় আল নাহিয়ান খান জয় এবং লেখক ভট্টাচার্যকে।

দায়িত্ব পাওয়ার পর সোমবার দুপুরে ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতে যান। এ সময় তাদের সঙ্গে দলের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।   

শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নাহিয়ান খান জয় বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের ছাত্রলীগের দায়িত্ব দেওয়ার পর আজ আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করলাম। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় আমরা তার সুযোগ্য কন্যা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশিত পথে চলব, তার হাতকে শক্তিশালী করতে কাজ করে যাব। ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি ও ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাব।’

নাহিয়ান জয় বলেন, ‘দীর্ঘদিন হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল কমিটিগুলো গঠন করা হয়নি। এই হলগুলো ছাত্রলীগের শক্তির আধার। হল কমিটিতে যাচাই-বাছাইয়ের কিছু ব্যাপার আছে। আমরা দুজন (ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য) আজ থেকে দায়িত্ব নিয়েছি মাত্র। শিগগিরই ছাত্রলীগের হল কমিটি ঘোষণার ব্যবস্থা করা হবে।’

এদিকে দলে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে যাচাই-বাছাইয়ের মধ্য দিয়ে নেতা নির্বাচন করে কমিটি গঠন করা হবে বলে জানান ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘কর্মী যে কেউ হতে পারে, তবে নেতা বানানোর ক্ষেত্রে আমরা কমিটি গঠন করে যাচাই-বাছাই শেষে পদায়ন করব।’

ছাত্রলীগ থেকে অপসারিত হওয়া রেজওয়ানুল হক শোভন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য এবং গোলাম রাব্বানী ডাকসুর জিএস ও সিনেট সদস্য। তাদের এই পদগুলো থেকে অপসারণের দাবিতে আন্দোলন করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাম ছাত্র সংগঠনগুলো।

সে বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে লেখক ভট্টাচার্য বলেন, ‘ছাত্রলীগ ও ডাকসু ভিন্ন। প্রশাসনের সিদ্ধান্ত প্রশাসন নেবে।’

লেখক ভট্টাচার্য বলেন, ‘সারাদেশে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা যেকোনো অভিযোগ কিংবা দাবি আমাদের জানাতে পারবেন। আমাদের কাছে আসতে কোনো লবিং কিংবা মধ্যস্থতা লাগবে না।’

(ঢাকাটাইমস/১৬সেপ্টেম্বর/জেবি)