বান্দরবানে যুবলীগ নেতা আটক

প্রকাশ | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ২১:৪০

চট্টগ্রাম ব্যুরো, ঢাকাটাইমস

পার্বত্য জেলা বান্দরবানে মসলা চাষিদের নামে ব্যাংক ঋণের অর্থ আত্মসাত মামলায় সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ক্যচিং মারমা আটক করা হয়েছে।

আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুল ইসলাম চৌধুরী।

সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে থেকে দুর্নীতি দমক কমিশন ও (দুদক) পুলিশের সহযোগিতায় তাকে আটক করা হয়।

এর আগে একই মামলায় ২১ জুলাই প্রধান আসামি অগ্রণী ব্যাংক বান্দরবান শাখার সাবেক ম্যানেজার নিবারন চন্দ্র তঞ্চঙ্গ্যাকে চট্টগ্রামের জিইসি মোড়ের বাসা থেকে আটক করেছিল দুদক। ওই মামলায় সাবেক ম্যানেজার বর্তমানে কারাগারে আছেন।

মামলার অন্য আসামিরা হচ্ছেন- অগ্রণী ব্যাংকের মাঠকর্মী জ্ঞান চাকমা, জ্যোতিষ কুমার খীসা, হীরেন্দ্র লাল চাকমা।

দুদক ও অগ্রণী ব্যাংক সূত্র জানায়, আদা-হলুদ চাষের জন্য ২০১১-১২ এবং ২০১২-১৩ অর্থ সালে বান্দরবান জেলায় ৩০টি ঋণের মধ্যে অগ্রণী ব্যাংকের বান্দরবানের সাবেক মাঠকর্মী জ্যোতিষ কুমার খীসা ও জ্ঞান চাকমা ১১টি করে ২২টি ঋণের অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করেন। আর মাঠকর্মী হীরেন্দ্র লাল চাকমা ৮টি ঋণের অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করেন। কিন্তু তিনজন মাঠকর্মীর সুপারিশকৃত ৩০টি ঋণের অনুমোদনকারী কর্মকর্তা ছিলেন বান্দরবান অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক নিবারন চন্দ্র তনচংগ্যা। স্থানীয় দালাল যুবলীগের উপজেলা সভাপতি ক্যচিঅং মারমা প্রায় সবকটি ঋণের বিপরীতে গ্রাহকদের নিকট হতে ছবি এবং জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করে নিজেই আবেদন ফরম পূরণ, স্বাক্ষর প্রদানসহ যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে জমা দেন।

‘৩০টি ঋণের বিপরীতে অগ্রণী ব্যাংক বান্দরবান শাখা হতে ২৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা পাহাড়িদের আদা ও হলুদ চাষিদের মাঝে বিতরণ করা হবে দেখিয়ে উত্তোলন করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে কয়েকজন চাষিকে এক লাখ ২০ হাজার টাকা প্রদান করে বাকি ২৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা আত্মসাত করেন। যা সুদাসলে মোট ৫০ লাখ ২২ হাজার ৫০৫ টাকা হয়েছে। তদন্তে আত্মসাতের বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় অভিযুক্ত ৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের চট্টগ্রাম-২ উপ-সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা মুহাম্মদ জাফর সাদেক শিবলী বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মামলার বাদী দুদকের চট্টগ্রাম-২ উপ-সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা মুহাম্মদ জাফর সাদেক শিবলী বলেন, ‘মসলা চাষিদের মাঝে বিতরণের নামে ব্যাংকের অর্থ-আত্মসাতের মামলায় দালাল ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ক্যচিং মারমাকে আটক করা হয়েছে। মামলাটি তদন্তকালে আত্মসাতের ঘটনায় আরও কারো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

(ঢাকাটাইমস/১৬সেপ্টেম্বর/এলএ)