আফগানিস্তানে প্রেসিডেন্টের সমাবেশে বোমা, নিহত ২৪

প্রকাশ | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৭:০৬ | আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৭:৩৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের উত্তরাঞ্চলের পারওয়ান প্রদেশের চারিকরে এক নির্বাচনী সমাবেশে বোমা হামলায় ২৪জন নিহত হয়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি সমাবেশে বক্তব্য দেয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে। তবে তিনি অক্ষত আছেন বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকালে এ বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে এক সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বোমা হামলাটি এক আত্মঘাতী চালিয়েছে।

বার্তাসংস্থা রয়র্টাস জানায়, বোমা বিস্ফোরণে ২৪জন নিহত ও আরো ৩১ জন আহত হয়েছে।

২০১৬ সাল থেকে আফগানিস্তানের ২৫৬টি বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। বোমা হামলায় প্রায় চার হাজার মানুষ নিহত ও ছয় হাজার মানুষ আহত হয়েছেন।

দেশটির প্রাদেশিক হাসপাতালের প্রধান কর্মকর্তা আব্দুল সানজিন বলেন, নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে।

প্রাদেশিক হাসপাতালের প্রধান কর্মকর্তা আব্দুল কাশিম সানজিন বলেন, নিহতদের মধ্যে নারী এবং শিশুও রয়েছে। তিনি আরো বলেন, ক্ষতিগ্রস্থদের মধ্যে অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছেছে। এ ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশক্সক্ষা প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রেসিডেন্টের নির্বাচনী প্রচার কমিটির মুখপাত্র হামেদ আজিজ বার্তা সংস্থা এপিকে বলেছেন, সমাবেশে বোমা বিস্ফোরণে প্রেসিডেন্ট গনি সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন। তবে তিনি অক্ষত এবং নিরাপদে আছেন।

চলতি মাসের ২৮ সেপ্টেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠানের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। দ্বিতীয় পাঁচ বছর মেয়াদের এ নির্বাচনেও প্রার্থী হচ্ছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ঘানি।

তালেবান নির্বাচন বয়কটের ডাক দিয়েছে। ভোটাররা যেন ভোটকেন্দ্রমুখি না হয় তার জন্য আফগানিস্তানের ও বিদেশি বাহিনীগুলোর সঙ্গে তীব্র লড়াই করার ঘোষণা দিয়েছেন এর নেতারা।

নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর চলতি বছরের ২৯ জুলাই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী প্রচারণার শুরুর দিন ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী আমরুল্লাহ সালেহর দপ্তরে আত্মঘাতী বোমা হামলা ও বন্দুক হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত ও ৫০ জন আহত হয়েছিল। বন্দুক হামলায় আমরুল্লাহ সালেহ আহত হয়েছিলেন।

আফগানিস্তানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ক্রমাগত অভ্যন্তরীণ জঙ্গি হামলা বেড়ে যাচ্ছে। জঙ্গি হামলার ঘটনায় নির্বাচন সঠিক সময়ে অনুষ্ঠিত হওয়া সম্পর্কে সংশয় তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যেই, দুইবার নির্বাচনী কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।

ঢাকাটাইমস/১৭সেপ্টেম্বর/আরআর